
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন; মু’মিনের সাথে খিয়ানত এবং তাকে অপমান করা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতকতা এবং তার সাথে যুদ্ধ করা হচ্ছে কাফের হওয়া। আর তার গিবত ও নিন্দা করা হচ্ছে পাপ।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন মু’মিন ব্যক্তির ক্ষতি করার জন্য কাজ করবে কিয়ামতের দিন তার কপালে লেখা থাকবে, সে আল্লাহর রহমতের প্রতি আশাবাদী ছিল না।
তিনি আরও বলেছেন: কেউ যদি তার মু’মিনি ভাইকে এই বলে হুমকি দেয় যে, সরকারের মাধ্যমে তোমার ক্ষতি করে ছাড়ব, যদি তার ক্ষতি নাও হয় তাহলেও সে জাহান্নামি হবে, আর যদি ক্ষতি হয় তাহলে সে ফিরাউনের সাথে জাহান্নামে থাকবে।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) আরও বলেছেন: যে ব্যক্তি মু’মিন ভাইয়ের সাথে বিন্দুমাত্র খারাপ ব্যবহার করবে সে তার বন্ধুত্ব ও ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হবে।
সূত্র: সুনানে কুবরা, ৮তম খণ্ড, পৃ: ৩৩৩; ওসায়েলুশ শিয়া, ১৭তম খণ্ড, ২৯৮; আল কাফি, ২য় খণ্ড, পৃ: ৩৬৮; আল কাফি, ২য় খণ্ড, পৃ: ৩৬১।
ইসলামে পরোপকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঈমানের দাবি এবং আল্লাহ তায়ালার অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ। এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে: خَيْرُ النَّاسِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ
যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ।
মানুষের উপকার করা যায় বিভিন্নভাবে। অর্থ দিয়ে, শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে এবং বিদ্যা দিয়ে। আল্লাহ তা‘আলা একেকজনকে একেকরকম যোগ্যতা দিয়েছেন। যার যেই যোগ্যতা আছে, সে যদি তার সেই যোগ্যতাকে সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে, তবেই তার সেই যোগ্যতা সার্থক হয়। এর দ্বারা সে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে সাফল্যকামি হয়। বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যে-কোনও যোগ্যতা দেনই এজন্যে যে, সে তা মানব-সেবায় নিয়োজিত করে নিজ জীবনকে সফল করে তুলবে।