ইকনার প্রতিবেদনে আরবি২১ অনলাইন পোর্টালের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষার্থীর ওপর প্রয়োগ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশটির অন্যান্য বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলবিরোধী ছাত্রবিক্ষোভ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে চাপ দিয়েছেন এবং এমনকি সরকারি অর্থায়ন বন্ধের হুমকিও দিয়েছেন।
তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসরায়েলবিরোধী শিক্ষার্থীরা এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, তারা কখনোই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবেন না এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বিষয়ে ফক্স নিউজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এসব শাস্তিমূলক পদক্ষেপ 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার' জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে সমালোচকরা একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ফিলিস্তিনি সংগ্রামের পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের দমন করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে এই কঠোর শাস্তিগুলো এমন সময়ে নেওয়া হলো, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যাপক আর্থিক চাপে ফেলেছিল এবং তাদের প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ফেডারেল বাজেট কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এমন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি, যেখানে গাজার যুদ্ধবিরোধী ছাত্রআন্দোলন সবচেয়ে তীব্র রূপ ধারণ করেছিল এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষেও রূপ নিয়েছিল। 4295998#