বার্তা সংস্থা ইকনা: কেন তিনি রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন:
আজিজা দিনি বলেন, ‘নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একে আমি একটি সুযোগ হিসেবে নিয়েছি। আমি বলতে চাই যে, আমরা মুসলিম নারীরা পর্দা পরিধান করি এবং একই সাথে আমরা স্বাধীনতাও উপভোগ করে থাকি।
আমরা স্বাধীন নারী এবং কর্মক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমাদের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে এমন কেউই নেই।
তিনি তার নেয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ঠিক কি অনুভব করেন:
‘আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্ববোধ করি। যেসকল মানুষ মনে করে মুসলিম নারীরা বৈষম্যের স্বীকার এবং তাদের নিজেদের কোনো পছন্দ অপছন্দের মূল্য নেই, তাদেরকে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এটি একটি উপযুক্ত সুযোগ।
রাজনীতিতে আসার অধিকার আমার রয়েছে। আমি রাজনীতিতে আসতে চাই কারণ আমি আমার নিজের প্রতিরক্ষা করতে চাই। কেউ আমাদের প্রতিরক্ষা দিক এমনটি আমরা চাই না।’
আঞ্চলিক নির্বাচনে একজন প্রথম হিজাবী মুসলিম নারী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুভূতি কি:
‘আমার নিজেকে সবসময় সঠিক হিসেবে ব্যাখ্যা দেয়া অতোটা সহজ কোনো কাজ নয়। আমাকে অনেক সময় এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় যেগুলোর আসলে কোনো মানে হয় না। উদাহরণ স্বরূপ- কুইবেকের গ্রিন পার্টির সদস্য হিসেবে আমি দলের সকল মূল্যবোধ মেনে চলি। কিন্তু আমি অনেক সময় ব্যক্তিগত প্রশ্নের মুখো মুখি হই। তারা শুধু মাত্র আমি যা পরিধান করি তাই দেখে থাকে।
যা একেবারেই বাজে একটি ব্যাপার। আর যা সবচেয়ে খারাপ তা হচ্ছে, সবসময় আমরা বলে থাকি যে, অভিবাসী, সংখ্যালঘু এবং মুসলিমদের এখানে কোনো সত্যিকারের সমস্যা নেই যা আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হবে।’
কুইবেকের মুসলিমদের সম্পর্কে বিশেষত মুসলিম নারীদের সম্পর্কে ঠিক কি ধরনের রাজনৈতিক আলাপ হয়ে থাকে বলে তিনি মনে করেন:
‘কোনো কোনো সময় এটি আমাকে হাসায় আবার কোনো কোনো সময় এটি আমাকে রাগান্বিত করে কেননা তারা অনেক সময় আমাকে নিয়ে আলোচনা করে। তারা আমাদের নাম উল্লেখ করে বলে যে, আমরা মুসলিম নারীরা নিপীড়িত, আমাদের নিজেদের কোনো স্বাধীনতা নেই ইত্যাদি।
বাস্তবতা আসলে তা নয়। আমাদের অনেক পর্দনশীল নারীর জন্য এটি বাস্তব নয়। তবে কিছু নারী বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকেন কিন্তু তা তাদের পর্দার জন্য নয়। তারা মুসলিম নারী এ জন্যও নয়। যে কোনো নারীই বৈষম্যের শিকার হতে পারেন।’- আজিজা দিনি এমনটি জানান। সূত্রঃ মন্ট্রিয়ালগ্যাজেট ডট কম।