প্রেসিডেন্ট রুহানি আজ (রোববার) রাজধানী তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা অংশ নেন। হাসান রুহানি বলেন, “মার্কিন কর্মকর্তারা এখন এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, তারা ভুল কৌশলে ইরান নিয়ে কাজ করেছেন। তারা ভেবেছিল, সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ইরানকে দুর্বল করে আলোচনার টেবিলে বসাতে সক্ষম হবে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় নি, আমরা যথেষ্ট শক্তি ও মর্যাদা নিয়ে বিশ্বের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা কখনো দুর্বল অবস্থানে থেকে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব না।”
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, যদিও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের জনগণের কিছু সমস্যা হয়েছে বিশেষ করে সাধারণ জনগণের, তবে তারা দেশের শত্রুদেরকে কোনভাবেই সফল কিংবা লাভবান হতে দেবেন না।
হরমুজ প্রণালী নিয়ে ইরান জাতিসংঘে যে শান্তি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে তার ফলাফল কি- এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “এটি সারা বিশ্বের কাছে পরিষ্কার যে, পারস্য উপসাগরে ইরানকে বাদ দিয়ে কোনো শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে না। ইরানের মতো একটি শক্তিশালী দেশের উপস্থিতিই কেবল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।”
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে ইরানের জন্য কী ধরনের পরিণতি হতে পারে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “আমেরিকায় কোন দল ক্ষমতায় থাকলো সেটি আমাদের কাছে কোনো ব্যাপার না। আমাদের কাছে আমাদের জাতীয় স্বার্থই গুরুত্বপূর্ণ।” iqna