IQNA

মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান

হযরত ফাতিমা'র (সা: আ:) শাহাদাতের অজানা ইতিহাস [পর্ব-৩]

0:01 - January 14, 2022
সংবাদ: 3471278
তেহরান (ইকনা): হযরত ফাতিমা ( আ .) হযরত আবূ বকরকে মহানবীর ( সা.) খলীফা , যুগের ইমাম ও উলিল আমরের ( মুসলিম উম্মাহর কর্তৃত্ব শীল শাসকগণ ) অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করেন নি এবং বাইআত করেন নি । আর বাইআত না করেই তিনি ( আ.) মৃত্যু বরণ করেন । তাহলে প্রশ্ন : নাঊযু বিল্লাহ হযরত ফাতিমা ( আ.) কি জাহিলিয়াতের মৃত্যু বরণ করেছেন ?!

তিনি যে বাইআত না করেই মৃত্যু বরণ করেছেন তার প্রমাণ হচ্ছে সহীহ বুখারীর ৪২৪০-৪২৪১ নং হাদীস । এতে বর্ণিত হয়েছে : " আর ঐ মাসগুলোতে ( যে মাসগুলোয় হযরত ফাতিমা জীবিত ছিলেন সে মাসগুলোতে ) তিনি ( আলী ) বাই'আতও করেন নি ..."
 
আর খলীফা আবূ বকরকে বাইআত না করে হযরত ফাতিমা (আ.) এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে অবশ্যই তিনি জাহিলিয়াতের মৃত্যু বরণ করেন নি । কারণ মহানবী (সা.) গাদীরে খুমে ১৮ যিল হজ্জ হযরত আলীকে ( আ ) মুসলিম উম্মাহর মওলা , ওয়ালী ( অভিভাবক , কর্তৃপক্ষ , শাসক  ) , ইমাম ( নেতা ) ও হাদী ( পথ প্রদর্শক ) নিযুক্ত এবং তা ঘোষণা করেন এবং সবার কাছ থেকে হযরত আলীর (  আ ) বেলায়তের বাইআতও গ্রহণ করেছিলেন । তাই হযরত ফাতিমা ( আ ) হযরত আলীকেই ( আ.) রাসূলুল্লাহর ( সা.) খলীফা , উম্মাহর বৈধ কর্তৃত্ব শীল কর্তৃপক্ষ , শাসক , পথপ্রদর্শক ও যুগের ইমাম বলে জানতেন ও বিশ্বাস করতেন । আর হযরত ফাতিমার ( আ.) এ নীতি অবস্থান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে হযরত আবু বকর উপরি উল্লেখিত হাদীস সমূহে বর্ণিত যুগের ইমাম ছিলেন না যার আনুগত্য না করে মৃত্যু বরণ করলে মৃত্যু বরণকারীর মৃত্যু হবে জাহেলিয়াতের মৃত্যু অর্থাৎ সে হবে জাহান্নামী । আর হযরত ফাতিমার বাইআত না করে মৃত্যু বরণ করা থেকে প্রমাণিত হয় যে হযরত আবূ বকরের খিলাফতের পক্ষে যে দলীল পেশ করা হয় অর্থাৎ উম্মাতের ইজমা ( ঐকমত্য ) সেটার কোনো মূল্য ও গুরুত্ব নেই । কারণ ঐ ইজমায় হযরত ফাতিমার মতো ব্যক্তিত্ব বিদ্যমান ছিলেন না।
 
তাই খলীফা আবূ বকর ছিলেন পারস্যের কিসরা , রোমের কায়সার , দুনিয়াবী সম্রাট , সুলতান , রাজা - বাদশাহ এবং প্রেসিডেন্টের ( রাষ্ট্রপতি ) মতো নিছক জাগতিক ( দুনিয়াবী ) শাসন কর্তা মাত্র যার বাই'আত করা আর না করা এক সমান অর্থাৎ এর কোনো ধর্মীয় আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ও তাৎপর্য নেই ! যেহেতু হযরত ফাতিমা (আ) জান্নাতের নারীদের নেত্রী সেহেতু তার বাই'আত না করে মৃত্যু বরণ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে হযরত আবু বকরের খিলাফত ছিল নিছক দুনিয়াবী ( সেক্যুলার ) শাসন যার সাথে দ্বীনের সম্পর্ক নেই । কারণ , হযরত আবূ বকরের খিলাফত ও শাসন যদি বৈধ ধর্মীয় শাসন হত তাহলে খাতূনে জান্নাত হযরত ফাতিমা (আ) আবূ বকরকে বাইআত করেই মৃত্যু বরণ করতেন । আর যেখানে হযরত আলী হযরত ফাতিমার জীবদ্দশায় হযরত আবু বকরের বাইআত করেন নি সেখানে কিভাবে হযরত ফাতিমা (আ) আবূ বকরকে বাইআত করবেন এবং তাকে বৈধ খলীফা বলে স্বীকৃতি দেবেন ? এটা কস্মিনকালেও কি সম্ভব ? শুধু দুনিয়াবী মাল সম্পদের মোহে হযরত ফাতিমা এ ধরণের আচরণ করেন নি যদিও পিতা রাসূলুল্লাহর ( সা.) রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পবিত্র কুরআন স্বীকৃত বৈধ মীরাস ও উত্তরাধিকারের ন্যায্য হক থেকে তাঁকে অন্যায় ভাবে বঞ্চিত করার তীব্র প্রতিবাদও তিনি করেছিলেন এবং আবূ বকরের উক্তি: "আমরা নবী গণ কোনো উত্তরাধিকার রেখে যাই না । আমরা যা রেখে গেলাম তা সদকা ( দান ) ।" যা মহানবীর হাদীস বলে হযরত আবূ বকর আখ্যায়িত করেছেন অথচ তা হযরত ফাতিমা (আ) মেনে নেন নি অর্থাৎ প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এ কারণে তিনি আবূ বকরের ওপর রাগান্বিত হন , তার সাথে  সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তার সাথে কথা বলেন নি ।
 
    সহীহুল বুখারীর হাদীস : মহানবী (সা.) বলেছেন : ফাতিমা বেহেশতের অধিবাসী নারীদের নেত্রী 
فَاطِمَةُ سَیِّدَةُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ
( দ্র : সহীহুল বুখারী , রাসূলুল্লাহর - সা. - নিকটাত্মীয়দের এবং নবীকন্যা ফাতিমার  - আলাইহাস সালাম - মানাকিব অধ্যায় - , পৃ : ৯০৯ এবং পৃ : ৯১৯ )
 
   হযরত আয়েশা ( রা.) থেকে বর্ণিত : মহানবী ( সা.) যে রোগে মৃত্যু বরণ করেন সেই রোগে অসুস্থ অবস্থায় তিনি ( সা.) বললেন : হে ফাতিমা ! তুমি কি জগৎ সমূহের নারীদের নেত্রী , এ উম্মতের নারীদের নেত্রী এবং মুমিনদের নারীদের নেত্রী হওয়ার ব্যাপারে সন্তুষ্ট নও ? ! 
 
قَالَ النَّبِيُّ -ص- : وَ هُوَ فِيْ مَرَضِهٖ الَّذِيْ تُو‍ُفِّيَ فِيْهِ : یَا فَاطِمَةُ أَلَا تَرْضَیْنَ أَنْ تَکُوْنِيْ سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْعَالَمِيْنَ وَ سَيِّدَةَ نِسَاءِ هٰذِهِ الْأُمَّةِ وَ سَيِّدَةَ نِسَاءِ الْمُؤْمِنِيْنَ .
 
হাকিম নীশাপুরী বলেন : এটা সহীহ ইসনাদ এবং বুখারী ও মুসলিম তা বর্ণনা করেন নি । আর আল্লামা যাহাবীও আত্ - তালখীস গ্রন্থে একমত পোষণ করে বলেছেন : এ হাদীসটি সহীহ । ( দ্র: আল্ - মুস্তাদ্রাক , খ : ৩ , পৃ : ৩৬৬ , হাদীস নং ৪৮০০ )
 
  উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা ( রা.) বলেছেন : আমরা মহানবীর ( সা .) পত্নী গণ সবাই তাঁর কাছে ছিলাম এবং আমাদের মধ্য থেকে কেউই (সেখান থেকে ) প্রস্থান করে নি । অত: পর ফাতিমা - আলাইহাস সালাম - পায়ে হেঁটে সেখানে আগমন করলেন । মহান আল্লাহর শপথ , তাঁর হাঁটা ছিল রাসূলুল্লাহর হাঁটার মতো । যখন তিনি ( সা.) তাঁকে ( ফাতিমা ) দেখলেন তখন তিনি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বললেন : হে আমার কন্যা , তুমি স্বাগতম । " এরপর তিনি ( সা.) তাঁকে নিজের ডান বা বাম পাশে বসালেন । এরপর তিনি তাঁকে গোপনে কিছু কথা বললেন আর তিনি ( ফাতিমা ) অত্যন্ত ক্রন্দন করলেন । অত:পর যখন তিনি তাঁর কান্না ও দু:খ প্রত্যক্ষ  করলেন তখন তিনি তাঁর সাথে পুনরায় গোপনে কথা বললেন । আর তখন তিনি ( ফাতিমা ) হাসতে লাগলেন । অত:পর আমি তাঁকে বললাম : রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সকল নারীর মধ্য থেকে কেবল তোমার কাছেই তার গোপনীয় বিষয় সম্পর্কে কথা বলেছেন । তখন তুমি কাঁদছিলে । অত:পর যখন রাসূলুল্লাহ উঠে চলে গেলেন তখন আমি তাঁকে ( ফাতিমা ) জিজ্ঞেস করলাম : তোমার কাছে কী গোপন কথা তিনি ( সা .) বলেছেন ?  তখন তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : রাসূলুল্লাহর ( সা.) গোপন রহস্য ফাঁস করা আমার জন্য অনুচিত। অত:পর রাসূলুল্লাহ ( সা.) ইন্তেকাল করলে আমি তাঁকে ( ফাতিমা ) বললাম : " তোমার উপর আমার যে হক ( অধিকার ) আছে সেটার ভিত্তিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তুমি আমাকে মহানবীর ( সা.) ঐ রহস্যটা জানাও । " তখন তিনি (ফাতিমা) বললেন : তবে বর্তমানে হ্যাঁ ( তোমাকে জানাতে আপত্তি নেই ) । " অত:পর তিনি আমাকে জানালেন ও বললেন : " প্রথম বারে যখন আমার সাথে গোপনে কথা বলছিলেন তখন আমাকে জানালেন যে , হযরত জিবরাঈল ( আ) প্রতি বছর একবার করে পুরো কুরআন তার কাছে উপস্থাপন ও পাঠ করতেন এবং এ বছর তিনি দুবার আমার কাছে পবিত্র কুরআন উপস্থাপন ও পাঠ করেছেন ; আর এ থেকে আমার মৃত্যু যে নিকটবর্তী হয়েছে তা ব্যতীত আমি আর কিছুই প্রত্যক্ষ করছি না ( অর্থাৎ অচিরেই আমার মৃত্যু হবে )। তাই তুমি আল্লাহকে ভয় এবং ধৈর্য্য ধারণ ( সবর ) করবে । আর আমি হচ্ছি তোমার উত্তম অগ্রবর্তী প্রতিনিধি ( সালাফ )। " তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : " অত:পর আমি কাঁদলাম । আর (সেজন্য) তুমি তখন আমাকে কাঁদতে দেখেছিলে । " অত:পর যখন তিনি ( রাসূলুল্লাহ সা ) আমার ক্রন্দন প্রত্যক্ষ করলেন তখন তিনি দ্বিতীয় দফা আমাকে গোপনে বললেন : " হে ফাতিমা ! তুমি কি মুমিনদের নারীদের নেত্রী অথবা এ উম্মতের নারীদের নেত্রী হতে পছন্দ করছ না ( হওয়ার ব্যাপারে সন্তুষ্ট নও ) ? 
[ অর্থাৎ তুমি মুমিনদের নারীদের নেত্রী এবং এ উম্মতের নারীদের নেত্রী  ]
 
( দ্র : সহীহ আল্ - বুখারী , পৃ : ১৫৮৯ , হাদীস নং ৩৬২৩ ও ৩৬২৪ এবং এর আশেপাশের হাদীস সমূহ )
 
    হযরত আয়েশা ( রা.) বলেন : পায়ে হেঁটে হযরত ফাতিমা আসলেন যেন তার হাঁটার ধরণ ধারণ ছিল মহানবীর হাঁটার মতোই । তখন নবী ( সা.) বললেন : " হে আমার কন্যা ! তোমাকে স্বাগতম । "
 
এরপর তিনি ( সা.) তাঁকে (আ.) তাঁর ( সা.) ডান অথবা বাম পাশে বসিয়ে তাঁর সাথে গোপনীয় কথা বললে ফাতিমা কাঁদলেন । আমি তাঁকে বললাম : " তুমি কেন কাঁদছ ? " এরপর রাসূলুল্লাহ ( সা.) তাঁর ( আ.) কাছে গোপনে আরও কিছু কথা বললে তিনি ( ফাতিমা ) হাসলেন । তখন আমি (নিজে নিজে) বললাম : আজকের মতো দু:খের  সবচেয়ে নিকটবর্তী এমন কোনো সুখ ও আনন্দ ( কখনো) আমি প্রত্যক্ষ করি নি ! তাই আমি তাঁকে ( ফাতিমা ) মহানবী ( সা .) তাঁকে যা বলেছেন সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম । কিন্তু তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : "  রাসূলুল্লাহর ( সা.) সির্র ( রহস্য ) ফাঁস করা আমার জন্য শোভনীয় ও উচিৎ হবে না । " নবীর ( সা.) মৃত্যুর পর আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি । ( বুখারী , হাদীস নং ৩৬২৩ )
 
    অত:পর তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : হযরত জিবরাঈল (আ) প্রতি বছর একবার করে আমার  [রাসূলুল্লাহ (সা.) ] কাছে সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআন উপস্থাপন ও পাঠ করতেন এবং এ বছর তিনি আমার কাছে দুই বার পবিত্র কুরআন উপস্থাপন ও পাঠ করেছেন । আর এটাকে আমার মৃত্যু কাল উপস্থিত হওয়া ব্যতীত আর কিছুই মনে করছি না এবং আমার আহলুল বাইতের মধ্য থেকে তুমিই হবে প্রথম ব্যক্তি যে আমার সাথে মিলিত । তখন আমি কাঁদলাম । এরপর তিনি (সা.) বললেন : "জন্নাত বাসীদের নারীদের নেত্রী অথবা মুমিনদের নারীদের নেত্রী হতে তুমি কি পছন্দ করছ না ? " অত:পর আমি এ জন্য হাসলাম । " ( দ্র : সহীহ আল - বুখারী , ৮৮৬ - ৮৮৭ )
 
আসলে মুমিনদের নারীদের নেত্রী =এই উম্মতের নারীদের নেত্রী =জান্নাতের নারীদের নেত্রী = জগৎ সমূহের নারীদের নেত্রী এক সমান অর্থ ও তাৎপর্য বহন করে । আর এ সব তা'বীর ও উপাধি আসলে সকল নারীর ওপর হযরত ফাতিমার শ্রেষ্ঠত্ব ও নেতৃত্ব প্রতিপন্ন ও প্রমাণিত হয় । আর যেহেতু মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মহানবীর আহলুল বাইতকে সকল পাপ পঙ্কিলতা ( রিজস ) থেকে পবিত্র ( মাসূম ও নিষ্পাপ ) করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ফাতিমাই মহানবীর পরে এই পবিত্র আহলুল বাইতের  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সদস্য, মুতাওয়াতির হাদীসে সাকালাইন অনুসারে পবিত্র কুরআন ও আহলুল বাইত কখনো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না এবং মুবাহালার আয়াতের ব্যাখ্যায় বিদ্যমান হাদীস সমূহের আলোকে আহলুল বাইত রাসূলুল্লাহর নুবুওয়াত ও রিসালতের সত্যতার সাক্ষী সেহেতু এ দুর্লভ ফযীলতের ( বেহেশতের নারীদের নেতৃত্ব ) অধিকারী তো তিনি ( ফাতিমা ) হবেনই ।
 
  এ সব হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে , হযরত ফাতিমা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল নারীর নেত্রী । কারণ বেহেশতবাসী নারীরা নি: সন্দেহে সকল নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ; আবার এ সব শ্রেষ্ঠ নারীর নেত্রী হচ্ছেন হযরত ফাতিমা (আ.) ; আর শ্রেষ্ঠত্বের কারণেই নেতৃত্ব ; তাই হযরত ফাতিমা ( আ .) সকল নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ।
 
হযরত ফাতিমা ( আ.) পূর্ণতা প্রাপ্ত চার নারীর একজন : 
 
   ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন : রাসূলুল্লাহ ( সা.) যমীনের উপর চার রেখা টেনে বললেন : তোমরা জান : " এটা ( এই চার রেখা ) কী ? " তখন সবাই বলল : " আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ( সা.) সবচেয়ে অবগত আছেন । " তখন রাসূলুল্লাহ ( সা .) বললেন : " বেহেশতবাসী নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন চারজন : খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ , ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ ..... " আল - হাদীস । হাকিম নীশাপুরী বলেন : " এ হাদীসটি সহীহুল ইসনাদ ।  তবে শাইখাইন তা বর্ণনা করেন নি ।" আল্লামা যাহাবীও তাঁর ( হাকিম নীশাপূরী) সাথে একমত পোষণ করে বলেছেন : " এ হাদীসটি সহীহ । " ( দ্র : আল - মুস্তাদ্রাক , খ: ৩, পৃ : ৩৭০ , হাদীস নং ৪৭২২ )
ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ ( সা .) যমীনের ওপর চার রেখা টেনে বললেন : " তোমরা কি জান যে এটা কী ? " তখন সবাই বলল : " আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সবচেয়ে বেশি জ্ঞাত আছেন ।" তিনি ( সা.) বললেন : " বেহেশতবাসী নারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী হলেন : খাদীজা , ফাতিমা , মারয়াম ও আসিয়া । " 
 
أَفْضَلُ نِسَاءِ أَهْلِ الْجَنَّةِ : خَدِیْجَةُ وَ فَاطِمَةُ وَ مَرْیَمُ وَ آسِیَةُ
 .
( দ্র : তাহযীবুত তাহযীব , খ : ১২ , পৃ : ৪৪১ - ৪৪২ )
 
হযরত ফাতিমা'র (সা: আ:) শাহাদাতের অজানা ইতিহাস
 
চলবে...

 

captcha