
অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন, এই প্রচারণার লক্ষ্য হলো নারী ক্রীড়াবিদদের ধর্মীয় পরিচয় ও পোশাকের স্বাধীনতা রক্ষা, এবং ফরাসি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই।
ফ্রান্সে জনসমক্ষে ও ক্রীড়াঙ্গনে হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চলমান আলোচনা নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কর্মীদের মতে, খেলাধুলায় এমন বাধা সৃষ্টি করা নারীদের সমঅধিকার ও অংশগ্রহণের সুযোগকে নষ্ট করছে এবং ধর্মীয় কারণে নারী খেলোয়াড়দের বাদ দেওয়া হচ্ছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায়, ধর্মীয় স্বাধীনতার দাবির উত্থান বাড়ার পর এসব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা উচিত, কারণ এগুলো নারীদের এমন একটি পরিবেশ থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে যা তাদের অধিকারভুক্ত। বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ফিনল্যান্ডেও সম্প্রতি ফ্রান্সের নীতিকে মুসলিম নারী খেলোয়াড়দের “অন্যায়ভাবে বাদ দেওয়া” বলে সমালোচনা করা হয়েছে।
২০২৪ সালে প্যারিস অলিম্পিক সামনে রেখে ফরাসি সরকার ঘোষণা করে—দেশটির খেলোয়াড়রা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় হিজাব পরতে পারবেন না। মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া অঙ্গনের বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব এই সিদ্ধান্তকে “লিঙ্গবৈষম্যমূলক ও বর্ণবিদ্বেষমূলক” হিসেবে নিন্দা জানালেও সরকার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে এবং নিয়মটি ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবলসহ পেশাদার ও অপেশাদার সব স্তরের খেলায় প্রয়োগ করা হয়। 4316297#