IQNA

চীনকে ঘেরাও করতে ওয়াশিংটন-মিয়ানমার সামরিক সহযোগিতা

20:25 - December 20, 2012
সংবাদ: 2467299
আন্তর্জাতিক বিভাগ: মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগণের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তার দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।

কোরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ফরাসি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেন্টাগণের এ কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংস্কার এবং গণতন্ত্রের চর্চা শুরু হওয়ার কারণে ওয়াশিংটন দেশটির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার এ উদ্যোগ নিল। তিনি বলেন, এ সহযোগিতা মিয়ানমারের সংস্কার প্রক্রিয়াকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগণের এ কর্মকর্তা আরো বলেন,কেবল সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ার মধ্যেই মিয়ানমার ও আমেরিকার সামরিক সহযোগিতা সীমাবদ্ধ থাকবে। এ প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে যুদ্ধের নতুন কৌশল, ত্রাণ ততপরতা চালানো এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কার ইত্যাদি। এ ছাড়া, সামরিক প্রশিক্ষণের আওতায় দু’দেশের সামরিক তথ্য আদান-প্রদান এবং উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য মিয়ানমারের সেনা সদস্যদের আমেরিকা সফরে যাওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
বিভিন্ন আলামত ও খবরা-খবর থেকে বোঝা যায়, মিয়ানমারের সঙ্গে আমেরিকার সামরিক সহযোগিতা খুব শিগগিরি শুরু হতে যাচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে আমেরিকা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর চিকিতসা সেবার মান বাড়নো এবং প্রতিরক্ষা কাঠামোয় আমূল সংস্কারের জন্য দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করবে। মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার জন্য কিছুদিন আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দু’জন কর্মকর্তা সেদেশ সফর করেন। ওই আলোচনা সফল ছিল এবং দু’পক্ষই সামরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মিয়ানমার সফরের পরই ওয়াশিংটন জানিয়েছে, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইনসহ আরো কয়েকটি মিত্র দেশের সঙ্গে যেমন যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে তেমনি মিয়ানমারকেও আগামী বছর এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। প্রকৃতপক্ষে, মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পরপরই দেশটির সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের উন্নতি ঘটতে শুরু করেছে। আমেরিকা অনেকদিন ধরেই মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসলেও চীন বিষয়টিকে কখনই ভালো চোখে দেখেনি।
গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রয়েছে। কিন্তু এখন মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকার মিত্র দেশগুলোর কাতারে শামিল হতে যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। মিয়ানমারকেও আর্থ-রাজনৈতিক ও সামরিক সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে আমেরিকা এ দেশটিকে তার পক্ষে টেনে আনার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার মিয়ানমার সফর থেকে মিয়ানমারের বিষয়ে আমেরিকার অতি উতসাহের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এ অবস্থায় আমেরিকা যদি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে তাহলে নিঃসন্দেহে মিয়ানমারে চীনের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন। #
রেডিও তেহরান

captcha