IQNA

দোহা চলচ্চিত্র উৎসবে ফিলিস্তিনি শিশুর দুর্ভোগের কাহিনী প্রদর্শন

11:21 - September 18, 2025
সংবাদ: 3478086
ইকনা- দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউট ঘোষণা করেছে যে দোহা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৫ উদ্বোধন করা হবে এক ফিলিস্তিনি শিশুর করুণ কাহিনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে।

ইকনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আর-রায়া থেকে উদ্ধৃত, দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে যে এ বছরের উৎসব ২০ থেকে ২৮ নভেম্বর ২০২৫ (২৯ আাবান থেকে ৭ আাজার) অনুষ্ঠিত হবে এবং উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে “দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব” (টিউনিসিয়া–ফ্রান্স যৌথ প্রযোজনা)।
চলচ্চিত্রটি ফিলিস্তিনি কন্যাশিশু হিন্দ রজব-এর জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরে, যার করুণ আহ্বান বিশ্ববাসীর বিবেককে জাগ্রত করে।
“দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব” সাহসী শাহাদাতকে চিত্রিত করে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে সহানুভূতি ও মানবিকতার প্রতি আহ্বান জানায়।
এই চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি ইতালির ৮২তম ভেনিস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার অর্জন করেছে।
দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, উদ্বোধনী প্রদর্শনের জন্য এই চলচ্চিত্র বেছে নেওয়া তাদের এই বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে যে—চলচ্চিত্র এমন এক শক্তি, যা উদাসীনতার দেয়াল ভাঙতে পারে, কণ্ঠস্বরগুলোকে মহাদেশ থেকে মহাদেশে পৌঁছে দিতে পারে এবং মানবতাকে স্মরণ করিয়ে দিতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও বলেছে, এই নির্বাচন তাদের অঙ্গীকারের প্রতীক—সত্য রক্ষা, নীরবদের কণ্ঠ দেওয়া এবং আমাদের পৃথিবীকে সাহস ও সততার সাথে গঠনকারী বাস্তবতাগুলোর মুখোমুখি হওয়া।
ফাতিমা হাসান আর-রুমাইহি, উৎসবের পরিচালক ও দোহা ফিল্ম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী, বলেছেন:
“এটি সব ফিলিস্তিনি শিশু, নারী ও পুরুষের গল্প, যাদের জীবন ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর ভয়াবহ ও সহিংস আগ্রাসনে ধ্বংস হয়েছে। তাদের প্রতিরোধ এখনও বিশ্ববাসীর বিবেককে নাড়িয়ে দিচ্ছে।”
তিনি বলেন:
“এই চলচ্চিত্র সিনেমার অনন্য ভূমিকা তুলে ধরে—সেসব কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করা, যেগুলো শোনা প্রাপ্য। একই সঙ্গে এটি ফিলিস্তিনিদের গভীর যন্ত্রণা প্রতিফলিত করে, তাদের সাহস এবং সেইসব নীরব বীরদের প্রচেষ্টা দেখায়, যারা একটি নির্দোষ শিশুকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল।”
“দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব” (আরবি: صوت هند رجب‎, ইংরেজি: The Voice of Hind Rajab) একটি নাটকীয় চলচ্চিত্র, যার চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন কাওতার বেন হানিয়া। চলচ্চিত্রটি ফিলিস্তিনি কন্যা হিন্দ রজব-এর ভীতিকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে, যাকে ২০২৪ সালে ইসরায়েলি সেনারা হত্যা করে।
ঘটনার শুরু হয় যখন তার পরিবার গাজায় বিমান হামলায় নিহত হয়। কিন্তু হিন্দ বেঁচে যায় এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে কান্না ও চিৎকার করে উদ্ধারকারীদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে।
চলচ্চিত্রটি হিন্দ রজবের জীবনের শেষ মুহূর্তকে তুলে ধরে—যা আসলে গাজা যুদ্ধের অসংখ্য নিহত শিশুর ভাগ্যের প্রতিচ্ছবি। শেষ পর্যন্ত “দ্য ভয়েস অব হিন্দ রজব” জীবন ও মৃত্যুর প্রতিযোগিতার গল্প, যেখানে দর্শক শুরু থেকেই জানে—এই প্রতিযোগিতায় মৃত্যু-ই বিজয়ী হবে। 4305550#

captcha