কোরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আগে এই নতুন মুসলমানের নাম ছিল ‘ম্যাকসি মিলিয়ন মুল্যার’। ইরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রদর্শনীতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে জানিয়েছেন, আমি জার্মানের রাজধানী বার্লিনের যে অঞ্চলে মুসলমানদের বসতি, সেখানে জন্ম গ্রহণ করেছে এ বড় হয়েছি। আমার অনেক মুসলমান বন্ধু আছে। তাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কথোপকথন হত এবং আমি আস্তে আস্তে ইসলাম ধর্মে ধাবিত হয়।
তিনি আরও বলেন, মুসলমান বন্ধুদের সাথে ইসলামী কথোপকথনের মধ্যে নাফসের সাথে যুদ্ধ বিষয়টি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। যদিও খ্রিষ্টান ধর্মে এবং দর্শনে নাফসের সাথে যুদ্ধে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু যখন আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে ইমাম খোমেনি (রাহ.) এর ‘নাফসের সাথে যুদ্ধ অথবা জিহাদে আকবার’ গ্রন্থটি আমার নিকট পৌঁছেছে, আমি গ্রন্থটি পড়ে এটার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। কারণ সর্বদা আমি একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতাম, কেন এবং কিভাবে নাফসের সাথে যুদ্ধ করা যাবে।
শিযা মাযহাব গ্রহণ করার পর জার্মানি এই ব্যক্তি ইসলামি জ্ঞান অর্জন করার জন্য ইরানের পবিত্র নগরী কুমে যান।
ইরানে যাওয়ার ব্যাপারে জার্মানি এই ব্যক্তি বলেন, যখন আমি ইরানে যাওয়ার জন্য বিমানে বসি, তখন আমার ভিতরে একটা সন্দেহ কাজ করে এবং আমি নিজের নিকট জিজ্ঞাসা করলাম যে, আমি এমন একটা দেশে যাচ্ছি যেখানে আমার পরিচিত কোন ব্যক্তি নেই এবং ইরানের ফার্সি ভাষাও আমার জানা নেই। কিন্তু পরবর্তীতে আমার সকল সন্দেহ দুর হল এবং আমি নিজে নিজে বললাম, নাফসের সাথে যুদ্ধ করার পদ্ধতি শেখাই আমার উদ্দেশ্য এবং আমি এমন একটি দেশে যাচ্ছি যেখানে অনেক বড় বড় আলেম এবং ওলামাগণ রয়েছেন।
ম্যাকসি মিলিয়ন বলেন, আমি ইরান থেকে জ্ঞান অর্জন করার পর আমার দেশ জার্মানে ফিরে যাব এবং ঐ খানে ইসলাম সম্পর্কে জনগণদের অবগত করব ও এই ধর্ম সম্পর্কে তাদের সকল ভ্রান্ত ধারণা অপসারণ করব।
তিনি সর্বশেষে ইমাম রেজা (আ.)এর জিয়ারতের গুরুত্বারোপ করে বলেন, যখনই আমি ইমাম রেজা (আ.)এর মাযার জিয়ারত করতে যায়, তখন শুধু ইমাম রেজা (আ.)কে চিন্তা করি এবং এক আধ্যাত্মিক শক্তি অনুভব করি।
1261645