ইকনা সূত্রে আনাদোলুর বরাতে জানা যায়, ইউনিসেফ সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, পশ্চিম সুদানের উত্তর দারফুর প্রদেশের রাজধানী আল-ফাশেরের একটি মসজিদে চালানো হামলায় অন্তত ৭৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী ১১ জন শিশু রয়েছে। বহু শিশু আহতও হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মসজিদ ও আশেপাশের ঘরবাড়ি তিন দিন আগে হামলার শিকার হয়। এ প্রসঙ্গে ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, “এই হামলা ভয়াবহ ও অগ্রহণযোগ্য। শিশুদের হত্যা ও বিকলাঙ্গ করা মানবতার জন্য লজ্জাজনক।”
তিনি আরও বলেন, আল-ফাশেরে শিশুরা টানা ৫০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে দ্রুত সহায়তা বাহিনীর (RSF) অবরোধে রয়েছে। ফলে তাদের খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসেবার প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে। শিশুদের এমন বিভীষিকাময় ঘটনার সাক্ষী হতে হচ্ছে, যা কোনো শিশুরই দেখা উচিত নয়।
রাসেল সব পক্ষকে আহ্বান জানান, যেন তারা ঘরবাড়ি, স্কুল ও শিশুদের উপাসনালয়ে হামলা বন্ধ করে। কারণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে এগুলো সুরক্ষিত স্থান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “শিশুদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং দায়মুক্তি মোটেও মেনে নেওয়া যাবে না। এই অপরাধগুলো অবিলম্বে ও যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৮ شهریور) আল-ফাশেরের আল-দারজা আল-ওলা এলাকায় ফজরের নামাজ চলাকালে RSF-এর চালানো ড্রোন হামলায় ডজনখানেক বেসামরিক নিহত হন। এটিকে চলমান সুদানের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
উত্তর দারফুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খাদিজা মুসা আল-জাজিরাকে বলেন, “অনেক লাশ এখনো শনাক্ত করা যায়নি, কিছু এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। এই দৃশ্য কোনো হত্যাযজ্ঞের চেয়ে কম নয়। তবে এবার ব্যবহৃত হয়েছে আরও প্রাণঘাতী ও নিখুঁত অস্ত্র।”
এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ, জাতিসংঘ মহাসচিব এবং সৌদি আরব, কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তারা সুদানের জনগণের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাসও দিয়েছে।4306624#