স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে আবারও লন্ডনের মেয়রের সমালোচনা করে দাবি করেন যে ইংল্যান্ডের রাজধানী “একজন ভয়ঙ্কর মেয়রের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।”
তিনি বলেন: “লন্ডনকে দেখুন; একটি শহর যেখানে এক ভয়ঙ্কর মেয়র আছে। এই শহর বদলে গেছে, অনেক বদলে গেছে। এখন তারা শরিয়াহ আইন চালু করতে চায়, কিন্তু তারা তা করতে পারবে না।”
এর জবাবে সাদিক খান স্কাই নিউজকে বলেন: “ট্রাম্প প্রমাণ করেছেন যে তিনি বর্ণবাদী, নারী বিদ্বেষী ও ইসলামবিদ্বেষী। জনমনে প্রশ্ন জাগছে, কেন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট একজন মুসলিম মেয়রকে, যিনি একটি স্বাধীন, বহুসংস্কৃতির এবং অগ্রসর শহর লন্ডন পরিচালনা করছেন, এতটা গুরুত্ব দেন এবং বারবার আমার ওপর আক্রমণ চালান। মনে হচ্ছে আমি অযথাই তার মনকে ব্যস্ত রেখেছি।”
খান আরও বলেন, ট্রাম্পের এসব বক্তব্য বর্ণবাদ ও ঘৃণাকে উসকে দেয়। “যখন কেউ বারবার এই ধরনের মন্তব্য করে এবং আচরণ দেখায়, তখন বিশ্বাস করতে হয় যে আসলেই তার মধ্যে এই দৃষ্টিভঙ্গি স্থায়ীভাবে গেঁথে আছে।”
তিনি বলেন, ট্রাম্পের বক্তৃতা শুধু হতাশাজনকই নয়, বরং সীমা অতিক্রম করে বর্ণগত বিভাজনকে উসকে দিয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য সহনশীলতা ও বৈচিত্র্যের মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করে, যা বিশ্বের বড় শহরগুলোতে স্বাগত জানানো হয়।
সাদিক খান আরও জোর দিয়ে বলেন, মানবিক ও পরিবেশগত সংকট উপেক্ষা করা ট্রাম্পের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রমাণ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে লন্ডনের মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার সময় সাদিক খান ট্রাম্পের মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধের প্রস্তাবকে “জঘন্য” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত খান আশা প্রকাশ করেছিলেন যে ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প “খারাপভাবে হারবেন।”
পরে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদকালে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে লবিং করেছিলেন যাতে ২০১৭ সালে ট্রাম্পের সরকারি সফর বাতিল করা হয়।
অন্যদিকে ট্রাম্পও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সাদিক খানের সমালোচনাকে “অত্যন্ত কদর্য” বলে উল্লেখ করে তাকে “একজন ভয়ঙ্কর মেয়র” ও “সম্পূর্ণ ব্যর্থ” আখ্যায়িত করেছেন। 4306921#