বিবৃতিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সব ধরনের সম্পর্ক দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পূর্ণ ছিন্ন করার ওপর জোর দেওয়া হয় এবং অবিলম্বে একটি ইসলামী শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করে আন্তরিকতা, ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের মাধ্যমে প্রকৃত ঐক্য গড়ে তোলার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই উম্মাহর সকল সত্যনিষ্ঠ জ্ঞানীরা একমত যে বাস্তব ইচ্ছাশক্তি, আন্তরিকতা ও ত্যাগ থাকলে উম্মাহ সর্বাত্মক পুনর্জাগরণ ও আক্রমণ প্রতিহত করার শক্তি অর্জনে সক্ষম। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন:
“আর তোমরা তাদের জন্য যতটুকু পার শক্তি ও রক্ষিত ঘোড়া প্রস্তুত করো, যাতে তোমরা আল্লাহর শত্রু, তোমাদের শত্রু এবং অন্যদেরও—যাদের তোমরা চেনো না, কিন্তু আল্লাহ চেনেন—ভয় প্রদর্শন করতে পারো।” (সূরা আনফাল: ৬০)
ইউনিয়ন জোর দিয়ে বলেছে, দখলদার ইসরায়েলি শাসকের বর্তমান সব পদক্ষেপ ও নীতি স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তারা ফিলিস্তিনিদের কোনো অধিকার স্বীকার করে না এবং নীল থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত ‘বৃহৎ ইসরায়েল’ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষ করে গাজায় ন্যায়সঙ্গত সশস্ত্র প্রতিরোধ রক্ষা করা একটি ধর্মীয় কর্তব্য এবং দখলদার ইসরায়েলি প্রকল্পের সম্প্রসারণ রোধে অপরিহার্য, কারণ গাজা হলো প্রতিরোধের প্রাচীর ও রক্ষাকবচ, যা অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।
ইউনিয়ন সতর্ক করে জানায়, আজকের এই সংকট শুধুমাত্র আল-আকসা মসজিদ, গাজা, পশ্চিম তীর বা ফিলিস্তিনের নয়, বরং সমগ্র ইসলামী দেশগুলোর অস্তিত্ব ও স্বাধীনতার প্রশ্ন। তাই হয় আমরা স্বাধীন ও স্বতন্ত্র থাকব, নয়তো—আল্লাহ না করুন—দখলদার ইসরায়েলের শাসনের অধীনে চলে যাব।
বিবৃতির শেষ অংশে বিশ্বের সব স্বাধীনচেতা মানুষ, মানবিক সংস্থা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এবং গাজায় ব্যাপক গণহত্যার বিরোধী সব দেশকে দখলদার ইসরায়েলের অবিচার ও মানবতার বিরুদ্ধে তাদের অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। 4304562#