বার্তা সংস্থা ইকনা: ইরানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজধানী তেহরানে গতকাল (বুধবার) এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে বলেছেন, জনগণের সন্তুষ্টি ও আস্থা অর্জন করাই তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। তিনি নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচার বিভাগকে। তিনি আইনের সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন এবং অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ইসলামী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা অজুহাতে মার্কিন আদালতের অন্যায় আচরণসহ পাশ্চাত্যের চাপিয়ে দেয়া নিষেধাজ্ঞার মোকাবেলায় ইরানি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের দায়িত্ব কর্তব্যের কথা তুলে ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এ ব্যাপারে সারা বিশ্বে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সন্ত্রাসীদের সমর্থক দেশগুলো যাদের কারণে ইরানে এ পর্যন্ত বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদেরকে যেভাবে হয়রানি করা হচ্ছে ও তাদের অধিকার পদদলিত করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সন্ত্রাসীদের হাতে হাজার হাজার মানুষের নিহত হওয়ার বিষয়ে এমন সময় আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা বললেন যখন ইরান এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে নানাভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনি বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সমাবেশে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এবং মানবাধিকার রক্ষার দাবিদারদের কথা ও কাজে বৈপরীত্যের কথা তুলে ধরে বলেছেন, প্রায় তিন দশক আগে অর্থাৎ ১৯৮১ সালের ২৭ জুন ইসলামী প্রজাতন্ত্র পার্টির দফতরে বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা এখনো পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়ে আছে। এ থেকেই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে পাশ্চাত্যের দ্বিমুখী নীতি ও ভণ্ডামি ফুটে উঠেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইয়েমেনে চলমান অপরাধযজ্ঞ ও শিশু হত্যার পরও কয়েকটি দেশের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিনিময়ে জাতিসংঘ সৌদি আরবের প্রতি অন্ধ সমর্থন দিচ্ছে। জাতিসংঘের এ আচরণ পুরো মানবতার জন্য কলংক বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ বিষয়টি নিয়েও সারা বিশ্বে আইনি ব্যবস্থা নেবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ফিলিস্তিন, বায়তুল মোকাদ্দাস ও মসজিদুল আকসা সমস্যা ছাড়াও আল কুদস দিবস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন।
আগামী শুক্রবার মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরান, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক কুদস দিবস পালিত হবে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এমন সময় মজলুম ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনে এগিয়ে আসার জন্য সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যখন দখলদার ইসরাইল দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিন ইস্যুটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে আসছে। এ কারণে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ফিলিস্তিন বিষয়ে আরো বেশি সচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। #