এদিকে, হাসপাতালে নেয়ার চার ঘণ্টা পর প্রাণ হারান ৬৪ বছর বয়সী সহযোগী তারা মিয়া। বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পর খুনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ সরে যেতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, পালাবার সময় তার হাতে বন্দুক ছিল বলে সার্ভিলেন্স ক্যামেরার ফুটেজে দেখা দেছে। হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য এখনো জানা যায় নি বলে পুলিশ দাবি করছে।
কিন্তু স্থানীয় মুসলমানরা একে ইসলাম বিদ্বেষী হত্যাকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শনিবার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পরই ওই এলাকায় স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে এ কথা বলা হয়।
নিউ ইয়র্কের ১২০টি ধর্মীয় সংস্থা এক বিবৃতি প্রদানের মাধ্যমে পেশ ইমাম ও তার সহযোগীর হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এই বিবৃতিতে পবিত্র কুরআনের আয়াত -«انا لله و انا الیه راجعون» অর্থাৎ ‘নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্যই এবং তাঁর দিকেই প্রত্যাগমনকারী' - উল্লেখ করে আল-ফুরকান মসজিদের সদস্য এবং নিহতদের পরিবারবর্গেরকে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
এই বিবৃতিতে সকল মসজিদ, গির্জা এবং সিনাগগ সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংস্থার নিকট এই আন্দোলনে যোগদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই বিবৃতির মাধ্যমে নিউ ইয়র্কের পুলিশের নিকট ঘাতককে দ্রুত সনাক্ত করে গ্রেফতার এবং উপযুক্ত বিচারের আহ্বান জানানো হয়েছে।
iqna