ইকনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের অঙ্গীকারের প্রতি আনুগত্য পুনর্ব্যক্ত করছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে যেন তারা ইসরায়েলি শত্রুকে চুক্তির শর্ত ও সব ধারা পূরণে বাধ্য করে।
হামাস জোর দিয়ে বলেছে, আমাদের সাহসী বন্দিদের—যাদের কেউ কেউ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং বহু বছর কারাগারে কাটিয়েছেন—মুক্তি ফিলিস্তিনি জাতির সাহস, ত্যাগ ও স্থিতিশীলতার ফসল। এটি প্রতিরোধ আন্দোলনের পক্ষ থেকে তাদের জাতি ও বন্দিদের প্রতি অঙ্গীকারের নিদর্শন এবং দখলদার নব্য নাৎসিদের নিপীড়নের মুখে অবিচল মুক্তির ইচ্ছার প্রতিফলন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নাতানিয়াহু ও তার সেনাবাহিনী দুই বছরের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের পরও তাদের বন্দিদের শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা বাধ্য হয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলনের শর্ত মেনে নিতে—যে শর্তে বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি সৈন্যদের মুক্তি কেবল বন্দি বিনিময় ও গণহত্যার অবসানের মাধ্যমেই সম্ভব।
হামাস আরও জানায়, প্রতিরোধ আন্দোলন শত্রুপক্ষের বন্দিদের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, যদিও যুদ্ধাপরাধী নাতানিয়াহু ও তার সন্ত্রাসী সেনারা বারবার তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। একই সময়ে, আমাদের বন্দিরা ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে সবচেয়ে নির্মম নির্যাতন, অত্যাচার ও হত্যার শিকার হচ্ছে।
বিবৃতির শেষে হামাস জানায়, বন্দিদের বিষয়টি সবসময় ফিলিস্তিনি জাতি ও প্রতিরোধ আন্দোলনের জাতীয় অগ্রাধিকারের শীর্ষে থাকবে। ফিলিস্তিনি জাতি শেষ বন্দির মুক্তি ও ভূমি ও পবিত্র স্থানের পূর্ণ মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্ত হবে না। 4310462#