IQNA

ইউনেস্কোর প্রস্তাব: মসজিদুল আকসা সম্পূর্ণভাবে মুসলমানদের অধিকারভুক্ত একটি পবিত্র স্থান

13:11 - October 14, 2025
সংবাদ: 3478246
ইকনা- ইউনেস্কো ২০১৬ সালে মসজিদুল আকসা সম্পর্কে যে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছিল, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে এই পবিত্র স্থানটি সম্পূর্ণরূপে মুসলমানদের অন্তর্গত।

ইকনা সূত্রে টুয়াসল নিউজের বরাতে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর (২২ مهر) ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের প্রোগ্রাম ও বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটিএক প্রস্তাব পাস করে। এতে বলা হয়, ইউনেস্কো মসজিদুল আকসাকে একটি ইসলামী পবিত্র স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

প্রস্তাবে কোথাও ইহুদিদের সঙ্গে মসজিদুল আকসার ঐতিহাসিক সম্পর্ক-এর কোনো উল্লেখ করা হয়নি। বরং এতে চরমপন্থী জায়নিস্ট ও ইসরাইলি বাহিনীর বারবার আক্রমণকে নিন্দা জানানো হয়েছে।

এই প্রস্তাবটি আলজেরিয়া, মিশর, লেবানন, মরক্কো, ওমান, কাতার এবং সুদানের যৌথ প্রস্তাবে গৃহীত হয়। প্রস্তাবটি প্রকাশের পর ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (OIC), আল-আযহার পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, ইরাকের আলেমদের সংঘ এবং বিভিন্ন ফিলিস্তিনি দল ও সরকার এর প্রতি সমর্থন জানায়।

অন্যদিকে, ইসরাইলি সূত্রগুলো জানায় যে, তেলআবিব সরকার ইউনেস্কোর প্রস্তাবটি পরিবর্তনের জন্য তৎপর হয়েছে এবং এ নিয়ে কূটনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এই প্রস্তাবকে আন্তর্জাতিকভাবে জেরুজালেমকে অধিকৃত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখেছেন।

মসজিদুল আকসা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ এবং ইসলামে তিনটি পবিত্র মসজিদের একটি, যার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এই তিনটি মসজিদেই ভ্রমণ করা উচিত। এটি মুসলমানদের প্রথম কিবলা হিসেবেও পরিচিত। মসজিদটি ফিলিস্তিনের জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত এবং পুরো ঘেরা এলাকা সহ একে মসজিদুল আকসাবলা হয়।

এর মোট আয়তন প্রায় ,৪৪,০০০ বর্গমিটার, যাতে কুব্বাতুস সাখরা (স্বর্ণগম্বুজ), মসজিদুল কিবলি, মারওয়ানি নামাজখানা, বাবুর রহমা নামাজখানা এবং প্রায় ২০০টি স্থাপনা রয়েছে। এটি একটি উঁচু টিলা, “মরিয়া পর্বত”-এর উপর অবস্থিত, যার কেন্দ্রে বিখ্যাত পাথরটি অবস্থান করছে।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা এই মসজিদের উল্লেখ করেছেন:

পবিত্র তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিবেলায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় নিয়ে গেলেনযার চারপাশ আমরা বরকতময় করেছিযেন আমরা তাঁকে আমাদের কিছু নিদর্শন দেখাই। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।(সূরা ইসরা: আয়াত ১)

ইহুদিরাও এই স্থানটিকে পবিত্র বলে মনে করে এবং মসজিদুল আকসার প্রাঙ্গণকে মন্দির পর্বত (Temple Mount)” বলে ডাকে, যা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সোলাইমান (আ.)-এর মন্দিরের স্থানবর্তমানে কিছু ইহুদি সংগঠন এই বিশ্বাসকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে মসজিদুল আকসার স্থানে নতুন মন্দির নির্মাণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। 4310633#

 

captcha