
আল-আরাবি সূত্রে জানা যায়, ম্যাচ শুরুর আগে যখন ইসরায়েলি জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়, তখন স্টেডিয়ামের দর্শকরা উচ্চস্বরে বাঁশি ও প্রতিবাদধ্বনি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। বাইরে, “ব্লু এনার্জি” (ফ্রিউলি) স্টেডিয়ামের সামনে হাজারো বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেয়।
পুলিশের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, ৫,০০০-এরও বেশি মানুষ বিকেলের দিকেই শহরের কেন্দ্র থেকে স্টেডিয়ামের দিকে মিছিল শুরু করে।
বিক্ষোভের আয়োজনকারী ‘ফিলিস্তিন কমিটি – উডিনে’ সংস্থা ফিফার কাছে দাবি জানায়, “ইসরায়েলকে সব ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হোক,” কারণ “এই দল দখলদার নীতির সহযোগী।”
বিক্ষোভকারীরা ১৮ মিটার লম্বা ফিলিস্তিনি পতাকা এবং একটি বিশাল লাল ব্যানার বহন করছিল, যাতে লেখা ছিল: “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লাল কার্ড ব্যবহার করুন।”
একটি লোহার ভাস্কর্যও প্রদর্শন করা হয়, যার এক হাতে ন্যায়বিচারের পাল্লা এবং অন্য হাতে লাল কার্ড ছিল — যা প্রতীকীভাবে “ন্যায়বিচারের আহ্বান” প্রকাশ করে।
বিক্ষোভকারী ভ্যালেন্তিনা বিয়াঙ্কি বলেন, “এটা যুদ্ধবিরতি, শান্তি নয়। আমি আমার প্ল্যাকার্ডে লিখেছি — ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি সম্ভব নয়।”
সংঘর্ষের সময় ইতালীয় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও পানি ছিটানো গাড়ি ব্যবহার করে এবং বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভকারীরা আতশবাজি নিক্ষেপ করে।
উডিনের মেয়র এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ রাতে যা ঘটেছে তা অগ্রহণযোগ্য। আমাদের শহর সহিংসতার কোনো রূপকেই সমর্থন করে না এবং আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।” 4310865#