হারেছ বলেন, আমি ইমামকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম, কিভাবে ভালদেরকে খারাপদের দায়ভার বহণ করতে হবে? ইমাম বললেন: একজন খাটি শিয়া মুসলমান যখন তার দ্বীনি ভাইকে ভাল পথে হেদায়াত না করে তখন এর জন্য তাকে জাবাব দিতে। সুতরং সবার উচিত যখনই কাউকে কোন খারাপ কাজ বা গোনাহ করতে দেখবে তাকে ভাল উপদেশ দিতে হবে।
হারেছ বলল. যদি সে আমাদের কথা না শোনে এবং ভাল পথে না আসতে চায় তখন আমরা কি করব? ইমাম বললেন, তাকে তোমাদের সমাজ থেকে বহিস্কার কর এবং তার সংস্পর্শ ত্যাগ কর।
আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী(আ.) বলেছেন: যদি কারও ভিতর থেকে কোন শতর্ককারী না থাকে আল্লাহ তাকে হেদায়াত করেন না।
ইমাম হাসান আসকারী(আ.)সতর্ক করার পদ্ধতি সম্পর্কে বলেছেন: যে ব্যক্তি গোপনে উপদেশ দেয় সে তাকে অলঙ্কৃত করল আর যে প্রকাশ্যে উপদেশ দেয় সে তাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করল।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: মহান আল্লাহ তিন শ্রেণীর লোককে কিয়ামতের দিন আজাব থেকে মুক্তি দিবেন, তারা হল: যারা ন্যায়সঙ্গত বিচার করে, যারা মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করে এবং যারা মানুষকে সঠিক পথে হেদায়াত করে উ সদুপদেশ দেয়।