
শাবিস্তানের বরাত দিয়ে
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইরানের শীর্ষ আলেম ও বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা হুসাইন মাজাহেরী আখলাক ও নৈতিকতার ক্লাসে ইসলামে নামাযের গুরুত্বের উপর বিশেষ আলোচনা করেন। তিনি বলেন যে, ইমাম জাফর সাদীক (আ.) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে: আল্লাহর মা'রেফাতের পর সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হচ্ছে নামায।
তিনি বলেন: বর্তমান কলুষিত ও নোংরা সমাজেও মানুষ যদি চেষ্টা ও সাধনা করে, তাহলে রাসূলের (সা.) একনিষ্ঠ সৈনিক হযরত সালমান ফারসি ও আবুজার গিফারীর মত জীবন যাপন করা সম্ভব। কিন্তু শর্ত হচ্ছে এক্ষেত্রে কঠোর সাধনার পাশাপাশি নাফসের তাড়না ক্ষেত্রে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। উত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া ও পরকালে পরিশুদ্ধ জীবন গঠনের সুযোগ পেতে পারে।
তিনি দুনিয়া ও পরকালে সফলতা অর্জনের লক্ষে নামাযের উপর গুরুত্বারোপের অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন: বর্তমান সমাজে আল্লাহর প্রদত্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান তথা নামাযের প্রতি অবজ্ঞার কারণে নানাবিধ নৈতিক অবক্ষয় ও ফিতনা-ফ্যাসাদের বিস্তার লাভ করছে।
তিনি বলেন: সমাজের মানুষ যদি সময়মত এবং নিয়মিত জামাতের সাথে নামায আদায় করে; তাহলে সমাজের অনেক কলুষতা, নোংরামি ও ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে মুক্ত থাকবে। যখন মসজিদের মিনার থেকে আযানের ধ্বনি শোনা যায়, তখন রাস্তা-ঘাট, বাজার, দোকান-পাট থেকে মানুষ যদি মসজিদের দিকে ছুটে যায়, তাহলে চারিদিকে এক পবিত্র ও আলোকিত পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা হুসাইন মাজাহেরী বলেন: আল্লাহর দরবারে নামায কবুলের প্রধান শর্ত হচ্ছে মনোযোগ ও একাগ্রতার সাথে নামায আদায় করা। নামাযের সময় নামায আদায়কারীকে এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে যে, সে সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হয়েছে।