IQNA

মিশরের মুফতি;

নামাজ ভঙ্গ করে মোবাইলের জবাব দেওয়া বৈধ!

0:52 - November 26, 2016
সংবাদ: 2602031
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নামাজরত অবস্থায় যদি কারো মোবাইলের কল আসে এবং সেই কলের উত্তর না দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গ করে মোবাইলের জবাব দেওয়া বৈধ বলে ফতোয়া দিয়েছেন মিশরের এক মুফতি।


মিশরের মুফতি 'সৌকি আলম'

বার্তা সংস্থা ইকনা: মিশরের মুফতি 'সৌকি আলম' এই ফতোয়া জারি করেছেন। তার এ ফতোয়ার প্রেক্ষাপটে নিন্দা জানিয়েছেন আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিকাহশাস্ত্রের অধ্যাপক "আহমাদ কারিমা"।

"রায় আল ইয়াউম" ওয়েবসাইট এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, মিশরের মুফতি 'সৌকি আলম' ফতোয়া প্রদানের মাধ্যমে, নামাজরত অবস্থায় যদি কারো মোবাইলের কল আসে এবং সেই কলের উত্তর না দিলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গ করে মোবাইলের জবাব দেওয়া বৈধ ঘোষণা দিয়েছেন।

আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিকাহশাস্ত্রের অধ্যাপক "আহমাদ কারিমা" তার এই ফতোয়ার নিন্দা জানিয়েছে বলেছেন: কারো জীবন বাঁচানোর জন্য নামাজ ভঙ্গ করা বৈধ।

তিনি বলেন: আলেম ও ফিকাহশাস্ত্রবিদগণ পূর্বে নামাজ ভঙ্গ করার ক্ষেত্রসমূহ উল্লেখ করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ: কোন অন্ধ ব্যক্তি যদি গর্তে পড়ে যায় অথবা পথ চলার সময় কোন শিশু যদি গাড়ির সাথে সংঘর্ষ ঘটে, সেক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গ করা বৈধ।

আহমাদ কারিমা পবিত্র কুরআনের - " ذلِکَ وَ مَنْ يُعَظِّمْ شَعائِرَ اللَّهِ فَإِنَّها مِنْ تَقْوَي الْقُلُوبِ "এটাই (আল্লাহর বিধান) এবং যে কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করবে, নিশ্চয়ই এটা (সম্মান প্রদর্শন) হৃদয়সমূহের সাবধানতা থেকে উদ্ভূত (ও আত্মসংযমের নিদর্শন)।" আয়াতের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন: বর্তমানে সকল মুসলমান মোবাইল ফোনে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে এবং নামাজের মধ্যে মোবাইল ফোনের উত্তর দেওয়া অর্থ হচ্ছে এটার অপব্যবহার করা।

Iqna


captcha