বার্তা সংস্থা ইকনা: দেশটির সরকার জানিয়েছে, সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সেনাদের ক্লিনআপ অভিযানের সমাপ্তি হয়েছে।
৪ মাসের এই অভিযান সম্পর্কে জাতিসংঘ বলেছে, এই অভিযান "মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ" এবং "সম্ভব্য বর্ণবাদী ক্লিনআপ অভিযান" বলে অবিহিত করেছে।
গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইন সীমান্তে একাধিক পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা হয়। হামলায় পুলিশের ৯ সদস্যসহ মোট ১৪ জন নিহত হন। হামলার পর রাখাইনে সহিংস অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এই অভিযানে মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গাদের ধরপাকড়, হত্যা, নির্যাতন, (প্রকাশের অযোগ্য), লুটপাট এবং তাদের বাসগৃহে অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন ধরণের অত্যাচার করেছে। উগ্র বৌদ্ধ এবং সেনাদের এই অভিযানে প্রায় ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
এই সহিংসতার ফলে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অং সান সুচি'র ব্যাপক সমালোচনা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন শান্তি নোবেল বিজয়ী সুচি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিকারের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
এদিকে দেশটির সরকার তাদের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ বিশেষ করে গণহত্যা এবং গণ যৌন নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। নিজেদের সৈন্যদের অভিযানকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আইনগত অভিযান বলে ব্যক্ত করেছে।
মিয়ানমারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, "রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। এজন্য সেনাদের ক্লিনআপ অভিযান শেষ করা হল। এলাকার কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে ঐ এলাকায় নিরাপত্তার জন্য শুধুমাত্র পুলিশ উপস্থিত থাকবে।"