বার্তা সংস্থা ইকনা: পাকিস্তানের কোয়েটা শহরের জেনারেল মুসা কলেজের 'মিসবাহুল কুরআন' একাডেমীর পক্ষ থেক তৃতীয় বার্ষিকী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানের প্রথমে এই একাডেমীর কুরআন হেফজ এবং তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেয়া হয়। এরপর একাডেমীর কর্মকর্তাগণ হাদীসের আলোকে কুরআন তিলাওয়াত এবং তার গুরুত্বের ওপর আলোচনা করেন।
'মিসবাহুল কুরআন' একাডেমীর প্রধান আব্বাস জাফরী বলেন: যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের শরণাপন্ন হবে, মহান আল্লাহ তাকে মুক্তি দেবে। এছাড়াও যদি কেউ সাফা চায় আল্লাহ তাকে সাফা দেবেন।
অনুষ্ঠানের শেষে কুরআন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা এবং শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের খোশনবিশ এবং ফার্সি ভাষায় পিএইচিডিধারী 'জাওয়াদ রাসুলী'কে পুরস্কার প্রদান করা হয়। জাওয়াদ পবিত্র কুরআনের ২৯ পারা হাতে লিখেছেন। কোন পাকিস্তানী এই প্রথম পবিত্র কুরআনের পাণ্ডুলিপি লিখেছেন। বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য সায়েদ আগা রেজা বং এই রাজ্যের স্থানীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এই পাণ্ডুলিপিটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এই পাণ্ডুলিপির সম্পর্কে জাওয়াদ রাসুলী ইকনার সাংবাদিককে বলেন: তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ৬ মাসে আমি এই পাণ্ডুলিপিটি লিখেছি এবং যখনই আমি লিখতে যেতাম, পূর্বে ওযু করতাম।
বলাবাহুল্য, ইকনার সাংবাদিকের প্রচেষ্টায় মিসবাহুল কুরআনে এই পাণ্ডুলিপিটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।
iqna