বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ মাওলা আলীর বহু গুণাবলী বর্ণনা করেছেন এবং মহানবীও বহু হাদিসে মাওলা আলীর মর্যাদা বর্ণনা করেছেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেন: মহান আল্লাহ আলী সম্পর্কে আমাকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন আর তা হচ্ছে: হে নবী! আলী হচ্ছে হেদায়াতের নিশান, আমার প্রিয় বান্দাদের নেতা এবং যারা আমার আনুগত্য করে তাদের জন্য হেদায়াতের প্রদীপ। আলীই হচ্ছে সেই কলেমা বা শব্দ যার অনুসরণ করতে সৎকর্মশীলদের নির্দেশ দিয়েছি।
মহানবী আরও বলেছেন: আলী হচ্ছে আমার ওসি আমার পরবর্তী খলিফা এবং আমার পর তোমাদের মধ্যে সব থেকে শ্রেষ্ঠ মানুষ।
হযরত আলীর শানে পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াত নাযিল হয়েছে। ইবনে আসাকির হযরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণনা করেছেন যে,কোন ব্যক্তির গুণ বর্ণনায় এত অধিক কুরআনের বাণী অবতীর্ণ হয়নি যা হযরত আলী সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস আরও বলেছেন যে,হযরত আলীর শানে তিনশ’ আয়াত নাযিল হয়েছে এবং তাঁর গুণাবলি অত্যধিক ও প্রসিদ্ধ। পবিত্র কুরআনের নাযিলকৃত আয়াতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নিম্নে উল্লেখ করা হল:
সূরা বাকারার ২০৭ নং আয়াত: وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْرِي نَفْسَهُ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ وَاللَّهُ رَءُوفٌ بِالْعِبَادِ
এবং মানুষের মধ্যে এমনও আছে,যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিক্রয় করে দেয় এবং আল্লাহ (এরূপ) বান্দাদের প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল।
সালাবী তাঁর তাফসীর গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন যে,রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার প্রস্তুতি নিলেন সেই সময় হযরত আলীকে তাঁর বিছানায় শুয়ে থাকার নির্দেশ দেন যাতে কাফির-মুশরিকরা মনে করে যে,রাসূল তাঁর নিজ ঘরেই রয়েছেন। আলী (আ.) নির্দ্বিধায় এ নির্দেশ পালন করলে মহান আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন।
হযরত আলীর মর্যাদা সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর নিকট থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হল:
সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস বলেন, নবী (সা.) তাবুক যুদ্ধের সময় আলীকে লক্ষ্য করে বলেছেন: তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, মর্যাদার দিক থেকে মূসার নিকট হারুন যে পর্যায়ে ছিলেন,তুমিও আমার নিকট ঐ পর্যায়ে রয়েছ?
অন্য একটি হাদিসে এসেছে: রাসূল বলেন : ‘তুমি তো আমার নিকট তদ্রূপ যেরূপ হারুনের স্থান মূসার নিকট। পার্থক্য এতটুকু যে,আমার পরে কোন নবী নেই।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ইমাম হাসান ও হুসাইনের হাত ধরে বলেন: যে ব্যক্তি আমাকে ভালবাসে এবং এ দু’জন ও তাদের পিতা-মাতাকে ভালবাসে,সে কিয়ামতের দিন আমার সাথে একই মর্যাদায় অবস্থান করবে।
আবদুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত। রাসূল বলেছেন: আলীর চেহারার দিকে তাকানোও ইবাদত।
৫রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আলী (আ.)-কে সম্বোধন করে বলেছিলেন: মুমিনরাই তোমাকে মহব্বত করবে এবং মুনাফিকরাই তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে। শাবিস্তান