IQNA

আল্লাহর সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের উপায়

18:42 - November 15, 2017
সংবাদ: 2604323
আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱبۡتَغُوٓاْ إِلَيۡهِ ٱلۡوَسِيلَةَ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং (সৎ আমল দ্বারা) তাঁর সান্নিধ্য অন্বেষণ করো।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আল্লাহর সুন্দরতম ও গুণবাচক নামসমূহের দ্বারা, وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ আর আল্লাহর জন্যে সুন্দর সুন্দর ও ভালো নাম রয়েছে, তোমরা তাঁকে সে সব নাম ধরেই ডাকবে। (সূরা আল-আরাফ: ১৮০)
নেক্কার জীবিত ব্যক্তিদের দো‘আর মাধ্যমে: আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَٱسۡتَغۡفِرۡ لِذَنۢبِكَ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۗ (হে রাসূল!) আপনি প্রথমে আপনার ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য, এরপর নারী ও পুরুষ সকলের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। (সূরা মুহাম্মাদ -১৯)

নামাযকে ইসলামের একটি মৌলিক ভিত্তি বলে অভিহিত করা হয়েছে। মানুষের মাঝে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে নামাযের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে বহু চিন্তাবিদ ও গবেষক এ নিয়ে পড়ালেখা করেছেন,গবেষণা করেছেন। মুসলিম গবেষকগণ অবশ্য নামায এবং নামাযের আত্মা ও তার হকিকতকে বিচিত্র দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁরা নামাযকে দেখেছেন মানুষের আভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে। তাঁরা মনে করেন, নামায হলো আল্লাহর পথে চলার পরিপূর্ণতম একটি উপায়।

ইসলামী বিপ্লবের মহামান্য রাহবার হযরত আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী বলেছেন: নামাযকে সবচেয়ে বড়ো আমল মনে করা উচিত। আত্মত্যাগ, ইবাদতে নিবিষ্টচিত্তে হওয়া এবং আল্লাহর ওপর নির্ভরতার জন্যে নামায হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস। কারণ নামায হচ্ছে যাকাত, নাহী আনিল মুনকার বা অসৎ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও বিরত রাখা এবং জেহাদের মতো কঠিন কাজগুলো করার শক্তিসঞ্চারকারী ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী।

সত্যিকার অর্থে নামায মানুষের অন্তরে এইসব দায়িত্ব পালনের শক্তি যোগায় এবং দ্রুত ময়দানে যাবার প্রেরণা যোগায়। নামায মানুষকে যাবতীয় অন্ধকারের ঘেরাটোপ থেকে রক্ষা করে এবং ঐশী বাস্তবতা ও সামগ্রিক কল্যাণের দিকে ধাবিত করে। আর মানুষ যেহেতু কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়,বিচিত্র পরীক্ষার সম্মুখীন হয় সেহেতু সবসময়ই নামাযের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা চিন্তাবিদদের অনেকেই নামাযকে একটি ধর্মীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখেছেন।

নামায এবং ইবাদত যেহেতু মানুষকে প্রশান্তি দেয় সেহেতু এই চিন্তাবিদগণ বেশিরভাগই নামাযের মনস্তাত্ত্বিক এবং আত্মিক প্রতিফলন এবং মানুষের আভ্যন্তরীণ সত্ত্বার ওপর তার প্রভাবের দিকটিতেই নজর দিয়েছেন বেশি। নামাযের প্রভাব এবং নামাযের যেই ইবাদত তা তাদের জন্যে অনস্বীকার্য এক আকর্ষণ।

মার্কিন মনোবিজ্ঞানী ডক্টর হেনরি লিঙ্ক বলেছেন: আমি বহু মানুষের ওপর দীর্ঘ মানসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে,যারা ধর্ম-কর্ম করেন,নামাযের মতো ইবাদত-বন্দেগি করেন,তারা এতো বেশি শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হন যে,ধর্ম-কর্মহীন কোনো মানুষের পক্ষে তা অর্জন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
captcha