বার্তা সংস্থা ইকনা: রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গবেষণা (এসইটিএ) বিষয়ে আঙ্কারা-ভিত্তিক ফাউন্ডেশনের বিদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. এনেস বারাকলি বলেন, ‘রাজনৈতিক বিবেচনার কারণে ইউরোপীয় রাজনীতিবিদরা এই সমস্যাটি গুরুতরভাবে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত নয়।’
ইসলামফোবিয়া নিয়ে ইস্তাম্বুলের সাবাহাতিন জেইম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের সম্মেলনের সাইডলাইন থেকে আনাদোলু এজেন্সিকে তিনি এসব কথা বলেন।
২০১৫ সালের বার্ষিক ইউরোপীয় ইসলামোফোবিয়া প্রতিবেদনের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করা বারাকলি বলেন, ‘নিকট ভবিষ্যতে এটি ঘটবে আমি তারও কোনো আশা দেখছি না। তবে এটি ঘটবে।’
‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং ইইউ’র উচিত ইসলামফোবিয়াকে একটি বর্ণবাদী মনোভাবের ধরন হিসেবে বিবেচনা করা।’ তিনি যোগ করেন।
বারাকলি বলেন, ইউরোপে ইসলামফোবিক নীতি এবং হামলা বাড়ছে, বিশেষ করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের শুরুর পর থেকে তা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
‘ইউরোপীয় ইসলামোফোবিয়া প্রতিবেদন-২০১৭’ অনুযায়ী, ইউরোপে ইসলামোফোবিয়া ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, জার্মানিতে মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করে মোট ৯০৮টি ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে রয়েছে- মৌখিক ও শারীরিক আক্রমণ, হত্যা চেষ্টা ইত্যাদি। একইভাবে পোল্যান্ডে ৬৬৪টি, নেদারল্যান্ডে৩৬৪টি, অস্ট্রিয়ায় ২৫৬টি, ফ্রান্সে ১২১টি, ডেনমার্কে ৫৬টি এবং বেলজিয়ামে ৩৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বারাকলি বলেন, ‘আমরা যা দেখছি তা হলো, ইউরোপীয় রাজনীতির মধ্যে এখন দুর্ভাগ্যবশত, অতি ডানপন্থী বক্তৃতা আধিপত্য করছে।’
তিনি বলেন, ‘যদিও ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই ডানপন্থীরা ক্ষমতায় নেই, কিন্তু তাদের ইসলামফোবিক বক্তব্য ইতোমধ্যে অনেক ইউরোপীয় দেশে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
বারাকলির মতে, অধিকাংশ রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি মিডিয়া ও রাজনৈতিক অভিজাতরা ইসলামোফোবিয়ার ধারণাটিকে প্রত্যাখ্যান করছেন।
‘সমস্যার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হচ্ছে সমস্যাটির একটি বড় অংশ।’ বারাকলি বলেন।
ইসলামফোবিয়ার রাজনৈতিক এবং বিচারগত স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে তিনি মনে করেন।
তিনি জানান, সম্প্রতি একটি পৃথক বিভাগ হিসাবে ইসলামফোবিক আক্রমণের রেকর্ড রাখতে শুরু করেছে জার্মানি। ডেইলি সাবাহ