সৌদি আরবে কর্মরত একজন ফরাসি সাংবাদিক অনলাইনে হামলার পর ঘটনাস্থলের কিছু ছবি বলে দাবি করে যা পোস্ট করেছেন তাতে পুষ্পস্তবকের আশেপাশে রক্তের ছোপ দেখা যাচ্ছে। তবে এই ছবি ঘটনাস্থলের কিনা তা যাচাই করা যায়নি। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে এখনও কিছু শোনা যায়নি, তবে জেদ্দায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
সৌদি আরবে কর্মরত আরেকজন সাংবাদিক ক্ল্যারেন্স রডরিগাজ টু্ইট করেছেন যে বোমা হামলার সময় সেখানে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং আর্য়াল্যান্ডের কনসাল জেনারেলরা এবং সেদেশে বসবাসরত অন্যান্য বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। তার টুইটে একজন আহতকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।
বিবিসির আরব ঘটনাবলীর সম্পাদক সেবাস্টিয়ান আশার জানাচ্ছেন ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জেদ্দার এই ঘটনাকে কাপুরুষোচিত হামলা বলে বর্ণনা করে এর নিন্দা করা হয়েছে এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্ণিত করার ও খুঁজে বের করার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ফ্রান্সের ল্য ফিগারো সংবাদপত্রের একজন সংবাদদাতা দূতাবাসের ওই বিস্ফোরণ সম্পর্কে এক টুইট বার্তায় বলেছেন অনুষ্ঠান চলার সময় একটি গ্রেনেড ছোঁড়া হয় এবং ঘটনায় অন্তত বারো জন আহত হয়েছে। তবে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে বোমাটি ঘরে তৈরি বিস্ফোরক ছিল।
বারো দিন আগে ফরাসি দূতাবাসের এক নিরাপত্তা রক্ষীকে ছুরি মারার ঘটনার পর অনুমান করা হচ্ছে যে এসব হামলার সাথে শার্লি এবদোয় ইসলামের নবীর কার্টুন ছাপা এবং তার স্বপক্ষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর যুক্তির প্রতিবাদে আরব ও মুসলিম দুনিয়ায় যে প্রতিবাদ হচ্ছে এটা তার অংশ হতে পারে। গ্রিসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্স সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন আহতের মধ্যে একজন গ্রিক নাগরিক আছেন। iqna