
ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আজ রবিবার, ৬ নভেম্বর, নিরাপত্তা শহীদদের সম্মানিত পরিবারের সাথে এক বৈঠকে এই শহীদদেরকে সৎপথের শ্রেষ্ঠ শহীদদের মধ্যে আখ্যায়িত করেছেন এবং সমাজের সকল বিষয়ে এবং মানুষের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তার মৌলিক গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন: শুধুমাত্র শক্তিশালী ইরানই দেশ ও জাতির নিরাপত্তা ও অগ্রগতির নিশ্চয়তা দিতে পারে; তাই ইরানকে অর্থনৈতিক-বৈজ্ঞানিক-রাজনৈতিক-প্রতিরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার সব দিক দিয়ে দিন দিন শক্তিশালী হতে হবে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল দুই রাত আগে একটা দোষ করেছে। এ ক্ষেত্রে ইরানি জাতির শক্তি, ইচ্ছা-উদ্যম এবং উদ্যোগ-উদ্ভাবনের বিষয়টি তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর শহীদদের পরিবারের একদল সদস্য আজ (রোববার) সকালে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইহুদিবাদীদের সামনে শক্তি তুলে ধরার মান-ধরণ কেমন হবে সে বিষয়টি আমাদের কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবেন এবং দেশ ও জাতির জন্য যা কল্যাণকর তা করবেন।
সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ইরানের ব্যাপারে ইহুদিবাদীরা ভুল হিসাব-নিকাশের মধ্যে রয়েছে। তারা ইরানকে চেনে না। ইরানের জনগণের শক্তি-সামর্থ্য, ইচ্ছা-উদ্যম এবং উদ্যোগ-উদ্ভাবন এখনো ঠিক মতো বুঝতে পারেনি তারা। আমাদের পক্ষ থেকেই এটা তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা ও লেবাননে যা করছে তা নৃশংসতম যুদ্ধাপরাধ। যুদ্ধ একটা কঠিন বিষয়, তবে এর নিয়ম, আইন এবং সীমা-পরিসীমা রয়েছে। এটা এমন নয় যে, কেউ যখন কারো সাথে যুদ্ধ করবে তখন সে সব সীমা লঙ্ঘন করবে। তিনি ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজা এবং লেবাননে অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে গোটা বিশ্বকেই ইহুদিবাদী (জায়নবাদী) ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নিকৃষ্ট ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে একটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিক জোট গঠন করতে হবে। ইহুদিবাদী ইসরাইল সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধাপরাধ করছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সামান্যতম সাহায্য করাও সবচেয়ে নিন্দনীয় এবং সবচেয়ে বড় পাপ।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বকে রুখে দাঁড়াতে হবে, সরকারগুলোকে বিশেষ করে মুসলিম সরকারগুলোকে রুখে দাঁড়াতে হবে। ব্যাপারটা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সাহায্য করা বা না করা নয়, অবশ্য এটাতো সবচেয়ে বড় পাপগুলোর একটি। বিষয়টা হলো, দখলদার ইসরাইলের মোকাবেলায় রুখে দাঁড়াতে হবে যাতে তারা অপরাধ বন্ধ করে।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী সরকারগুলোর জন্য, বিশেষ করে ইসলামিক সরকারগুলোর জন্য অপরাধী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং এই জল্লাদ শাসনের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক জোট গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন। এসম্পর্কে তিনি বলেন: প্রতিরোধের অর্থ অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া নয়, কারণ এটা স্পষ্ট যে দখলকারী শাসনকে সাহায্য করা সবচেয়ে কুৎসিত এবং সবচেয়ে বড় পাপের মধ্যে একটি, বরং প্রতিরোধের মানে সবচেয়ে নৃশংস যুদ্ধাপরাধকারী অশুভ শাসনের বিরুদ্ধে একটি বৈশ্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং প্রয়োজনে সামরিক জোট গঠন করা। 4244585#