
রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটরা সময়সীমার আগে নতুন একটি ব্যয় পরিকল্পনায় একমত হতে না পারায় বুধবার থেকে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কিছু ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিশেষকরে স্বাস্থ্যসেবার খাতের ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে এই বিরোধ দেখা দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউজের মোট ১,৭৩৩ কর্মীর মধ্যে ৫৫৪ জন আপাতত কাজে যোগ দেবেন না।
আমেরিকার ফেডারেল সরকারের আংশিক কার্যক্রম ১ অক্টোবর রাত থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট- এই দুই দলই একে অপরকে সংকট দীর্ঘায়িত করা ও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ করছে।
১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২০ বারেরও বেশি হোয়াইট হাউজ ও কংগ্রেসের মতবিরোধে সরকারের বাজেট বন্ধ হয়েছে। সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্রম বন্ধ হয়েছিল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে, যা ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৫ দিন চলতে থাকে।
লাখ লাখ কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে এমন আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
শাটডাউনের ফলে স্বল্প সময়ের জন্য সীমান্তের এজেন্ট ও সেনাবাহিনীসহ অপরিহার্য কর্মীদের বেতন ছাড়াই কাজ করতে হবে। কিন্তু অপরিহার্য নয় এমন সরকারি কর্মীদের বিনা বেতনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই শাটডাউন বা অচলাবস্থা ২০১৮ সালের তুলনায় অনেক বড় হবে যখন কংগ্রেস কিছু তহবিল পাস করেছিল।
তারা অনুমান করছেন, প্রায় ৪০ শতাংশ ফেডারেল কর্মী বা প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষকে সাময়িকভাবে ছুটিতে পাঠানো হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যদি এই অবস্থা অন্তত কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকে, তাহলে ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রানীতি নির্ধারণে অনিশ্চয়তায় পড়বে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের সরবরাহকৃত অর্থনৈতিক তথ্য ছাড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তাছাড়া, কার্যক্রম যত দীর্ঘ হবে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব তত বাড়বে।#পার্সটুডে