২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত, যেখানে গণতন্ত্রপন্থী বিদ্রোহীরা বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছে।
মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলের চাউং উ টাউনশিপে শত শত মানুষ থাদিংগ্যুত পূর্ণিমা উৎসব ও এক বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিলেন।
তখনই সামরিক বাহিনী আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ করে বলে জানান আয়োজক কমিটির এক সদস্য।
নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী সদস্য বলেন, ‘রাত ৭টার দিকে যখন মানুষ উৎসব ও প্রতিবাদে জড়ো হচ্ছিল, তখন হঠাৎ দুটি বোমা পড়লে ৪০ জনেরও বেশি নিহত ও প্রায় ৮০ জন আহত হন।’
এক পর্যায়ে আয়োজক কমিটি মানুষকে সতর্ক করলে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পালাতে সক্ষম হয়।
ওই নারী বলেন, ‘একটি মোটরচালিত প্যারাগ্লাইডার সরাসরি ভিড়ের ওপর উড়ে গিয়ে দুটি বোমা ফেলে।
শিশুদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। আজ সকাল পর্যন্তও আমরা মাটি থেকে শরীরের টুকরো, মাংসপিণ্ড ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করেছি।’
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘যখন আমি মানুষকে বলছিলাম ‘দৌড়াবেন না’, তখনই প্যারাগ্লাইডারটি দুইটি বোমা ফেলে। আমার দুই সহকর্মী আমার সামনেই মারা যান।
’ তিনি নিহত ৯ বন্ধুর অন্ত্যেষ্টিতে অংশ নিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমও জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছে।
জান্তা সরকার এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত মন্তব্য করেনি।
সেনা সরকার ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে, তবে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ এটিকে ‘প্রহসন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বিদ্রোহীরা ঘোষণা দিয়েছে, তারা এই নির্বাচন ঠেকাবে।
বর্তমানে সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের ঘাঁটি অবরুদ্ধ করে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।