IQNA

পবিত্র মক্কায় নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা, প্রতিটি ছাতার নিচে দাঁড়াতে পারবে ২৫০০ মানুষ!

22:49 - January 16, 2020
সংবাদ: 2610054
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা নির্মাণ হচ্ছে মক্কায়। প্রতিটি ছাতার উচ্চতা ৩০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সমানভাবে ৫৩ মিটার। ছাতাগুলো এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে। প্রতিটি ছাতার নিচে আড়াই হাজার মানুষ দাঁড়াতে পারবে।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বিশ্বের সবচেয়ে বড় ছাতা: সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্মভূমি উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির দেশ মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের পবিত্র মক্কার বায়তুল্লাহ কা’বা ঘর ঘিরে মসজিদ আল হারাম। রাসুল সঃ এর রওজা মোবারক মদিনা মানোওয়ারাতে মসজিদে নববীর মাঠে ভাঁ'জ করা ছাতা থাকলেও মক্কা হারাম শরীফে নির্মিত হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাঁ'জ করা ছাতা।
জানাযায়, ২০১৪-সালের ডিসেম্বর মাসে মক্কা-মদিনা হারামের খাদেম ও সৌদি আরব সরকারের প্রধান প্রয়াত মালিক আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সাউদ প্রচ'ণ্ড তাপমা'ত্রার কথা চিন্তা করে পবিত্র হজ্জ ও ওমরাহতে আসা আল্লাহর মেহেমান হাজী ও নিয়মিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে এ বৃহত্তর ভাঁ'জ করা ছাতা নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।

জেনারেল প্রেসিডেন্সি টু হলিমস্ক কোম্পানি নামে ঠিকাদার সৌদি সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ ভাঁ'জ করা ছাতা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করবে। ইতিমধ্যে জাপান থেকে এসে কাজ শুরু করেছে প্রায় ২৫-জন ইঞ্জিনিয়ার সহ প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান ও সেপটি এক্সপার্ট।

কেমন হবে ছাতা গুলো: জানাগেছে, প্রতিটি ছাতা ৪৫-মিটার উঁচু ও প্রায় ১৬-টন ওজন হবে। প্রতি-টা ছাতা ২৪-স্কয়ার মিটার স্থান জু'ড়ে ছায়া দিতে সক্ষ'ম হবে। হারাম শরীফের উপরে ৮-টি হাই টেকনোলোজি সাইজের ছাতা বসানো হবে। হারামের উত্তর পাশে ৫৪-টি ছাতা বসানো হবে। সবকটি ছাতা মিলে প্রায় ১৯-হাজার ২০০-শত স্কয়ার মিটার স্থান জুড়ে ছায়া দিবে। কাবা শরীফের ছাদও মডেল ছাতার ছায়া তলে থাকবে।

নির্মিত ভাঁ'জ করা প্রতিটি ছাতা বড় বড় ঘড়ি ও এইচডি স্ক্রিনে তৈরি হবে। ছাতায় হাজীদের জন্য দিকনির্দেশনা লেখা থাকবে। ছাতা গুলো এসি সংযু'ক্ত গরমে ঠান্ডা দিবে। হাজীগণ ও প্রার্থনা কারীরা বিশ্রাম নিতে পারার মত ছাতার নিছে থাকবে ২২-টি বেন্স ও হাই সিকি'উরিটি ব্যবস্থা।

ছাতা গুলো সম্পূর্ণ হলে হারামের উত্তর পার্শ্বে ৪-লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। মদিনা মসজিদ নববীতে আগে থেকে ছাতা রয়েছে প্রতিটি ছাতা খোলার সময় এক মিনিট ব্যবধান থাকে যাতে করে একটি ছাতা আরেকটি ছাতার সাথে ধা'ক্কা না লাগে। খোলার সময় মনে হয় একটি ফুল ফুটছে বাগানে। এ ভাঁ'জ করা ছাতা নির্মিত হলে মক্কা বায়তুল্লাহ (কাবা ঘর) ঘিরে মসজিদুল আল হারামের দৃশ্য হবে অন্যরকম সুন্দর।
সূত্র:mtnews24

captcha