ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি শুক্রবার বলেছেন, আরামকো কোম্পানিতে “সামাদ-৩” ড্রোন এবং জুলফিকার, বাদ্র ও সায়ির মডেলের ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও "নজরান" এবং "আসির" অঞ্চলের সামরিক অবস্থানগুলোয় কাসেফ K-2 ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দিয়ে রাস আল তানুরায় আরামকো কোম্পানির পাশাপাশি আরও কয়েকটি অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া দাম্মামের কিং আব্দুল আজিজ বিমান ঘাঁটিতেও আঘাত হেনেছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। এর চেয়েও কঠোর ও ধ্বংসাত্মক হামলা চালাতে ইয়েয়েনিরা প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র গুরুত্বারোপ করে বলেন: ইয়েমেনের অবরোধ ও সামরিক আক্রমণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সৌদির ভাড়াটে সৈন্যদের এভাবে জবাব দেওয়া হবে।
২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া সৌদি আগ্রাসন এখনও চলছে। এতে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি আঞ্চলিক দেশ এবং ইউরোপ ও আমেরিকা। ইয়েমেনিরা এই আগ্রাসনের জন্য আমেরিকাকেও দায়ী বলে মনে করে।