বার্তা সংস্থা ইকনা: কুরআনের হাফেজ জাহরার মা, তার সম্পর্কে বলেছেন: “গর্ভকালীন সময়ে আমি প্রতিনিয়ত পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতাম এবং উচ্চস্বরে কুরআন তেলাওয়াত মনোযোগ সহকারে শুনতাম”।
তিনি বলেছেন: “জাহরার জন্মের পর তার ঘুমের সময়ে ঘুমপাড়ানি ছড়ার জায়গায় পবিত্র কুরআনের ছোট সূরাগুলো পড়তাম। জাহরার এক বছরের সময় বুঝতে পারলাম সে আমার সাথে কুরআনের আয়াতগুলো পুনরাবৃত্তি করছে। আর এরফলে তার জন্য কুরআনের অন্যান্য আয়াত ও সুরা পড়তে আমি আগ্রহী হয়।
তিন বছরের ফুটফুটে মেয়ে জাহরা কোন কুরআনের শিক্ষকের নিকটি প্রশিক্ষণ ছাড়াই ৩৭টি সুরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
জাহরার দাদা হাজ্বী হোসেন এ ব্যাপারে বলেন: “জাহরার কুরআন মুখস্থ করার জন্য তার মার ভূমিকা সবচেয়ে বেশী। কেননা, জাহরার জন্মের পূর্বে থেকেই তার মা সবসময় কুরআন তেলাওয়াত করত এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দানকৃত জাহরার এ প্রতিভার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি বলেন: জাহরার জন্মের পর থেকে তার ঘুম পারানোর জন্য কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করা হয়েছে এবং সে খুব মনোযোগ সহকারে শুনতো। এক বছর বয়সে জাহরা একাএকাই পবিত্র কুরআনের ইখলাস, ফালাক এবং নাস সুরা বলত।
জাহরার দাদা এ সাফল্যকে মহান আল্লাহর দান হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন: এটা আল্লাহর করুণা যে, এক বছরের শিশু কুরআনের সুরা মুখস্থ করেছে। অথচ তার বয়সের অন্যান্য বাচ্চারা শুধুমাত্র ‘বাবা’ এবং ‘মা’ বলা শেখে। জাহরার যখন দু’বছর পূর্ণ হয় তখন সে কুরআনের ৮টি সুরা মুখস্থ করে এবং বর্তমানে তার তিন বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সে তাজবিদ সহকারে পবিত্র কুরআনের ৩৭টি সুরা মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছে।
ছোট্টমনি জাহরা’র কুরআন তেলাওয়াত ডাউনলোড করার জন্য নীচের ডাউনলোড অপসনে ক্লিক করুন।