মস্কোয় ইরানের প্রেসিডেন্ট হুজ্জাতুল ইসলাম রায়িসির সাথে সাক্ষাতের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। এসময় তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টকে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ীকে (হাফিজাহুল্লাহ) তার সালাম এবং শুভকামনা পৌঁছে দিতে বলেন।
এ সময় তিনি বলেছেন, ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে ইরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা যাতে প্রত্যাহার হয় সে চেষ্টা চলছে। তবে নিষেধাজ্ঞা ইরানের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।
তিনি রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানি প্রেসিডেন্টকে বলেন, 'আপনি শপথ নেয়ার পর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। কিন্তু ফোনালাপ বা ভিডিও কনফারেন্স সরাসরি বৈঠকের বিকল্প হতে পারে না।'
তিনি আরও বলেন, 'করোনা মহামারির মধ্যেও দুই দেশের বাণিজ্য ৬ শতাংশ বেড়েছে। নানা প্রকল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে। দুই দেশের প্রচেষ্টায় আমরা সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সিরিয়াকে সহযোগিতা করতে সক্ষম হয়েছি।'
এর আগে আজই ইরানের প্রেসিডেন্ট মস্কো পৌঁছান। রাশিয়ার জ্বালানি মন্ত্রী নিকোলাই শুলগিনুফ মস্কো বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান। ইরানের প্রেসিডেন্ট রুশ সংসদ দুমায় ভাষণ দেবেন বলেও কথা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ক্ষেত্রে চুক্তি সই হবে।
রাশিয়ার জাতীয় সংসদের ফার্স্ট ডেপুটি স্পিকার আলেকজান্ডার ঝুকভের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট রায়িসি রুশ সংসদের নিম্নকক্ষ দুমায় ভাষণ দেবেন। এছাড়া রাশিয়া প্রবাসী ইরানি এবং রুশ ব্যবসায়ীদের সমাবেশে অংশ নেবেন ইব্রাহিম রায়িসি।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তেলমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীসহ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তা। রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। iqna