হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে হযরত আলীকে (আ) মহান আল্লাহ সৃষ্টি না করলে হযরত ফাতিমার ( আ ) জন্য উপযুক্ত পাত্র ( কুফূ ) পাওয়াই যেত না এবং হযরত ফাতিমাকে স্বামী বিহীন থাকতে হত এবং তাঁর বিবাহই হত না ।
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে হযরত আলী (আ) মহানবীর (সাঃ) পরে সৃষ্টি কুলের সেরা অর্থাৎ সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মহানবীর (সাঃ) পরে সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। কারণ হযরত ফাতিমা ( আ ) সর্বশ্রেষ্ঠ নারী এবং জগত সমূহের সকল নারীর , বেহেশত বাসী সকল নারীর , সকল মুমিন নারীর এবং এ উম্মতের সকল নারীর নেত্রী এমনকি তিনি হযরত মারিয়াম বিনতে ইমরান উম্ম - ই ঈসার ( আ ) নেত্রী। তাই এমন নারীর স্বামী যিনি তিনি নি:সন্দেহে কেবল উম্মত - ই মুহাম্মদীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি নন বরং তিনি মহানবীর (সাঃ) পরে সৃষ্টিকূলের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে ১লা যিল হজ্জ থেকে পালিত হয় হযরত আলী (আ) ও হযরত ফাতিমার ( আ ) শুভ বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ' বিবাহ সপ্তাহ ' যাতে ইরানী মুসলিম যুবক যুবতী হযরত আলী( আ ) ও হযরত ফাতিমার ( আ ) সরল অনাড়ম্বর অথচ সুখী বৈবাহিক দাম্পত্য জীবনকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে তাদের বৈবাহিক দাম্পত্য জীবন শুরু করতে পারে।
এ দিন ( ১ লা যিলহজ্জ ) ইরান , ইরাক , লেবানন , আফগানিস্তান, পাকিস্তান , ভারত , আজারবাইজান, বাহরাইন , ইয়ামান , সৌদী আরব , উপসাগরীয় আরবদেশ সমূহ , নাইজেরিয়া , ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মহানবীর (সা) আহলুল বাইতের (আ) মাযহাবের অনুসারী বিবাহযোগ্য যুবক - যুবতীদের অনেকেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং নতুন দাম্পত্য জীবন শুরু করেন । মহান আল্লাহর কাছে
নতুন দম্পতিদের শুভ বৈবাহিক জীবন কামনা করছি এবং তাদের বৈবাহিক জীবন তাদের মাওলা হযরত আলী (আ) ও হযরত ফাতিমার (আ) দাম্পত্য জীবনের অনুসরণ করে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে ভরপুর হোক ।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান