আল-আরাব ফি ব্রিটানিয়া ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে যে ১৩ সেপ্টেম্বর ডানপন্থী কর্মী টমি রবিনসনের আহ্বানে অনুষ্ঠিতব্য তথাকথিত "ইউনাইটেড কিংডম ইউনিটি" বিক্ষোভের জন্য সমগ্র ইংল্যান্ড থেকে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে, হাজারো মানুষ এই বিক্ষোভে অংশ নেবে, যেটিকে আয়োজকরা "মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য" সমাবেশ বলে বর্ণনা করেছে। পাল্টা হিসেবে "স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজম" আন্দোলনও একই দিনে সমপরিমাণ জনসমাগম নিয়ে বিক্ষোভ আয়োজন করবে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১,৬০০ এরও বেশি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন, যার মধ্যে ৫০০ জন লন্ডনের বাইরের অঞ্চল থেকে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় লন্ডনের দুইটি বিক্ষোভের নিরাপত্তা সরাসরি প্রায় ১,০০০ কর্মকর্তা দেখভাল করবেন।
অপারেশনের প্রধান কমান্ডার ক্লেয়ার হেইন্স বলেছেন, পুলিশের অবস্থান স্পষ্ট—কোনো বৈধ বিক্ষোভের আড়ালে ঘৃণা ছড়ানো বা বৈষম্যমূলক আচরণ বরদাশত করা হবে না। তিনি স্বীকার করেন, পূর্বের বিক্ষোভগুলোতে ইসলামবিরোধী স্লোগানের কারণে লন্ডনের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এজন্য কিছু মহল মুসলমানদের ১৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় লন্ডন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, দুই পক্ষকে আলাদা রাখতে বিশেষ ব্যারিকেড বসানো হবে এবং রাস্তাজুড়ে কর্মকর্তা মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিক্ষোভের স্থান ও সময়ের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে।
তবে এসব ব্যবস্থা বিপুল নিরাপত্তা ব্যয়ের উদ্বেগও বাড়িয়েছে। শুধু রবিনসনের আয়োজন করা তিনটি বিক্ষোভের নিরাপত্তায় ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৩.৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড। অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভগুলোর নিরাপত্তা ব্যয় অতিক্রম করেছে ৫৩ মিলিয়ন পাউন্ড।
পুলিশ কমিশনার স্যার মার্ক রাউলি আগেই সতর্ক করেছিলেন, এই বিপুল সম্পদ আসলে অপরাধ তদন্ত, চুরি দমন কিংবা অপরাধীদের ধরতে ব্যবহার করা যেত।
কমান্ডার হেইন্স দায়িত্বশীলভাবে এই অভিযানে অংশ নেওয়া শত শত কর্মকর্তা এবং বাইরের অঞ্চল থেকে আসা ৫০০ কর্মকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, পুলিশের মূল লক্ষ্য হলো নিরপেক্ষভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিক্ষোভকারীদের অধিকার রক্ষা করা এবং যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।
তিনি আরও জানান, এই বিক্ষোভগুলো যেন ন্যূনতম বিঘ্ন ঘটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়, সে লক্ষ্যে পুলিশ আয়োজক, স্থানীয় সম্প্রদায় ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করেছে। 4304823