ইকনা ও আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে—গত বৃহস্পতিবার (১০ مهر / ২ অক্টোবর) ম্যানচেস্টার শহরের একটি সিনাগগে হামলা চালিয়ে দুই ইহুদিকে হত্যা করা ব্যক্তি হামলার সময় আইএসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল।
ব্রিটেনের সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলাকারী, যার নাম ‘জিহাদ আল-শামি’, হামলার সময় জরুরি সেবা বিভাগে ফোন করে জানায় যে, সে আইএসের প্রতিনিধিত্ব করছে।
জানা গেছে, আল-শামি ৩৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ নাগরিক, যার পরিবার সিরীয় বংশোদ্ভূত। সে গাড়ি নিয়ে পথচারীদের দিকে ধেয়ে যায় এবং ম্যানচেস্টারের উপশহর হিটন পার্কের একটি সিনাগগে প্রবেশ করে ছুরি হাতে হামলা চালায়। ঘটনাটি ঘটে ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘ইয়োম কিপুর’-এর দিন। হামলার পর ব্রিটিশ পুলিশ ঘটনাস্থলেই তাকে গুলি করে হত্যা করে।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটির গণমাধ্যমে এই ঘটনাটির কাভারেজ ইসলাম ও ব্রিটিশ মুসলমানদের দায়ী করার দিকে মোড় নেয়।
এই ঘটনার পর ম্যানচেস্টারে বসবাসরত ২৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ মুসলিম ওদ তাজ রয়টার্সকে বলেন, “আমরা এখন গভীর উদ্বেগের এক সময় পার করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানি, উপাসনালয়ে যাওয়ার সময় যখন ইহুদিরা হামলার শিকার হন, তখন তারা কী অনুভব করেন। এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাগুলোর একটি।”
ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে তাজ বলেন, এখন তিনি তার মুসলিম পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ইসলামোফোবিয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘টেল মামা’ জানিয়েছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে ৯১৩টি ইসলামবিরোধী ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৭টি মসজিদ ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে হামলা।
সংস্থাটি চলতি বছরের শুরুতে জানিয়েছিল যে, ২০২২ সাল থেকে ইসলামবিরোধী ঘটনার সংখ্যা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। 4309736#