
সংবাদমাধ্যম ‘আজেল’–এর বরাতে জানা গেছে, সৌদি আরবের মন্ত্রণালয় অব ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স, দাওয়াহ অ্যান্ড গাইডেন্স এবং নেপালের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স কমিশন–এর যৌথ উদ্যোগে শনিবার, ১৫ই নভেম্বর থেকে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপ শুরু হয়। প্রতিযোগিতা তিন দিনব্যাপী চলবে।
প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্বে নেপালের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৮০০-রও বেশি ছেলে ও মেয়ে অংশগ্রহণ করে। বাছাই শেষে ১৮৯ জন প্রতিযোগীকে চূড়ান্ত ধাপে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়।
এই কোরআন প্রতিযোগিতা ৪টি বিভাগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে— পূর্ণ কোরআন হিফজ, ১৫ পারা হিফজ, ৫ পারা হিফজ এবং ২৯ ও ৩০তম পারা হিফজ।
চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপালে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত সা’দ বিন নাসের আবু হিমেদ, নেপাল ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্দিক মোহাম্মদ দিন আলী এবং কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ফাইনালের দ্বিতীয় দিনটি ছিল— ৫ পারা হিফজ (ছেলে-মেয়ে)এবং দুই পারা (২৯–৩০) হিফজ (ছেলে বিভাগ)।
জুরি বোর্ড কঠোর তত্ত্বাবধানে প্রতিযোগিতা পরিচালনা করে অংশগ্রহণকারীদের জন্য উপযুক্ত প্রতিযোগিতাময় পরিবেশ তৈরি করেছে।
আয়োজক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য— মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে কোরআনি মূল্যবোধকে জোরদার করা, সংখ্যালঘু মুসলমানদের মধ্যে কোরআন হিফজ ও তিলাওয়াত কর্মসূচিকে সমর্থন করা এবং সৌদি ইসলামিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নেপালের ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের সম্পর্ক সুদৃঢ় করা।
নেপাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ, জনসংখ্যা প্রায় ২৯ মিলিয়ন। সরকারি ভাষা নেপালি।
নেপালের মুসলমানদের পূর্বপুরুষেরা দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া ও তিব্বতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত। শতাব্দীর পর শতাব্দি ধরে তারা হিন্দু ও বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ সমাজে সহাবস্থান করে আসছেন। 4317412#