বার্তা সংস্থা ইকনা: ১১ই এপ্রিলে তেহরান এবং কাজাখিস্তানের মধ্যে বিভিন্ন সহযোগিতা আদান প্রদানের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করা হয়েছে। ইরানের প্রতিবেশী কাজাখিস্তানকে মুসলমানদের বন্ধ বলে অভিহিত করেছেন ড. রুহানি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন: ইরানের ওপর অবরোধ জারি এবং পরমাণু আলোচনার সময় কাজাখিস্তান ইরানের পাশে থেকে সাহায্য করেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি আরও বলেছেন, আঞ্চলিক বিষয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ও কাজাখিস্তান অভিন্ন অবস্থানে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিশ্বে মুসলমানদের সংহতি ও ঐক্যের বিষয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে ইরান ও কাজাখিস্তান। উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এবং সন্ত্রাসবাদ মুসলিম বিশ্বের জন্য প্রধান হুমকি হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি। আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়া গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া, ইয়েমেনে সৌদি আরবের যুদ্ধের অবসান ঘটানোরও আহ্বান জানান তিনি।
রুহানি বলেন, ২৫ বছর আগে কাজাখিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই আস্তানা ও তেহরান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং এ সম্পর্কের পরিধি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বৈঠকে কাজাখিস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ বলেন: কাজাখিস্তান সর্বদা ইরানের পাশে ছিল এবং থাকবে। আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের জন্য ইরানকে সাহায্য করবে।
উক্ত বৈঠকে তেহরান ও আস্তানার মধ্যকার ২ বিলিয়ন ডলারের ৬৬ দলিল স্বাক্ষরের ব্যাপারে কাজাখিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেন: অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, কৃষি এবং খনির শিল্প সহ অন্যান্য বিষয়ে এই দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক অটুট থাকবে।
বৈঠকের শেষে কাজাখিস্তানের প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নাজারবায়েভ ইরানি প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানিকে সেদেশে ভ্রমণের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানান।