বার্তা সংস্থা ইকনা: মসজিদে আগুন লাগানোর সময় মুসলমানেরা বাধা দিলে তারা মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। চরমপন্থি বৌদ্ধদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মুসলমানেরা থানায় আশ্রয় নেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ২০০ উগ্র বৌদ্ধ ‘দাইয়ে দা মেইন’ গ্রামে হানা দেয়। একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে এ হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা গ্রামের মুসলিম কবরস্থানের দেয়াল ভেঙে ফেলে।
এ সময় নারী ও শিশুসহ প্রায় ৭০ জন মুসলমান স্থানীয় থানায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। গ্রাম প্রধান ‘হেলা তিন্ত’- যিনি একজন বৌদ্ধ, তিনি দাবি করেছেন, বড় ধরনের হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তবে গ্রামটির মুসলিম অধিবাসী ‘তিন শুয়ে উ’ জানিয়েছেন, তার গ্রামের অধিবাসীরা এখন তীব্র আতঙ্কে ভুগছেন। তিনি বলেন, কিছু মানুষ মুসলিমদের হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে তাদেরকে অন্তত সপ্তাহখানেকের জন্য কোথাও পালিয়ে থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
মিয়ানমারে গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে দেশটির উগ্র বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী। মূলত পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের এ দাঙ্গায় নিরাপত্তা বাহিনী বৌদ্ধদের সহযোগিতা করেছে। রক্তক্ষয়ী এ দাঙ্গায় শত শত মুসলমান নিহত ও লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন।
রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ২০১২ সাল থেকে বৌদ্ধদের অত্যাচার সহ্য করে আসছে। এপর্যন্ত অনেকেই গৃহহীন হয়েছে এবং এই সহিংসতায় নিজের জীবন হারিয়েছে।#
iqna