উত্তর হচ্ছে ইমামগণকে স্বপ্নে দেখা শুধু সম্ভব এবং তার অনেক দৃষ্টান্তও রয়েছে। কেননা শয়তান কখনোই নবী ও রাসূলগণের চেহারা ধারণ করতে পারে না। সুতরাং ইমামগণের প্রকৃত অনুসারীরা ইমামদের শাহাদাতের পর তাদেরকে স্বপ্ন দেখতেন এবং পরবর্তী ইমামদের কাছে তা বর্ণনা করতেন।
এই বিষয়টিকে সত্য প্রমাণ করার জন্য ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন যে রাসূল(সা.) বলেছেন: : «پدرم از جدم از پدرش از رسول خدا صل الله علیه وآله نقل کرده است که فرمودند: «من رآنی فی منامه، فقد رآنی، فان الشیطان لا یتمثل فی صورتی و لا فی صورة احد من اوصیائی و لا فی صورة احد من شیعتهم؛
যদি তোমরা কেউ আমাকে স্বপ্নে দেখ তাহলে বুঝবে যে ফিক আমাকেই দেখেছ। কেননা শয়তান কখনোই আমার রূপ, আমার উত্তরাধিকারীরর রূপ এবং তাদের প্রকৃত অনুসারীদের রূপ ধারণ করতে পারে না।
আল্লাম মাজলিসি বলেন, সুতরাং শয়তান কখনোই রাসূল(সা.) ও পবিত্র ইমাগণের চেহারা ধারণ করতে পারবে না। আর শিয়া বলতে প্রকৃত শিয়াদেরকে যেমন সালমান ফার্সি, আবুজার, মেকদাদ.. এদেরকে বোঝানো হয়েছে।
শেখ সাদুক(রহ.) বলেছেন: ইমাম মাহদীকে স্বপ্নে দেখা সম্ভব এবং যদি কেউ রাসূল(সা.) ও ইমামগণকে স্বপ্নে দেখে যে তারা কোন শহরে বা গ্রামে প্রবেশ করেছেন। তাহলে বুঝতে হবে যে তাদের শহরে বা গ্রামে আল্লাহর রহমত নেমে আসবে এবং তাদের সকল বালা-মুসিবত দূর হয়ে যাবে।