আল-খারাজ প্রদেশে অনেক প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। আর এ কারণে সৌদি ও ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিকদের সম্মিলিত একটি টিম উক্ত প্রদেশটির প্রাচীন নিদর্শন সনাক্ত করতে ইয়ামামা'র সহ কিছু এলাকায় গবেষণা চালিয়েছেন।
এই টিকে সৌদি ও ফ্রান্সের ১৮ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছে। এসকল প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞগণ গবেষণার জন্য ইয়ামামা এলাকার -সৌদি আরবের পর্যটন ও জাতীয় ঐতিহ্য বিভাগের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত- কিছু স্থান খনন করেছে। এই গবেষণার সময় প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রথম শতাব্দীর অন্তর্গত একটি বড় মসজিদ সন্ধান পেয়ছেন।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলেছেন: প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ধারণা করা হচ্ছে উক্ত মসজিদটি প্রথম থেকে পঞ্চম হিজরির মধ্যকার যেকোনো একটি সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে আচ্ছাদিত তিনটি বারান্দা, দুটি মেহরাব (পেশ ইমামের নামাজের স্থান) এবং একটি বৃহৎ প্রাঙ্গণ রয়েছে। মসজিদটি যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখন (হয়ত) আরব উপদ্বীপে মসজিদুন নবী (সা.) এবং মসজিদুল হারামের পরে বড় মসজিদ।
মসজিদের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মসজিদটি বৃত্তাকারে কলামের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি কলামের ব্যাস প্রায় দুই মিটার। বারান্দার ছাদ ধরে রাখার জন্য এসকল কলাম নির্মাণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গুম্বজের আকারেই ছাদ ছিল।
স্পষ্ট যে, মসজিদের প্রাঙ্গণ খোলা ছিল। মসজিদের উত্তর-পূর্ব দিকে মাটির স্তূপ রয়েছে। সম্ভবত সেখানে মসজিদের মিনার ছিল। মসজিদের আশেপাশে বসতবাড়িও ছিল।