আহলে বাইত (আ.) বিশ্ব সংস্থা'র প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম মোহাম্মদ হাসান আখতারি গতকাল (শুক্রবার) এ বছরের আরবাইনের অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা উল্লেখ করে বলেন, আরবাইন এবার আহলে বাইত (আ.)-এর অনুসারীদের মধ্যে ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। একদিকে আহলে বাইত (আ.)-এর অনুসারীরা সব দেশ থেকে আরবাইনে সমবেত হচ্ছেন, অন্যদিকে মুসলমানদের মধ্যে একতা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
আহলে বাইত নিউজ এজেন্সির (আবনা) বরাতে পার্স টুডে জানিয়েছে, হুজ্জাতুল ইসলাম আখতারি বলেন, আজ বাংলাদেশ, ভারত এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মতো অন্যান্য মুসলিম দেশের মুসলমানরাও আরবাইনে অংশ নিচ্ছেন, যারা মূলত শিয়া নন এবং আহলে বাইত (আ.)-এর মাযহাবের অনুসারী নন, কিন্তু তারা আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি মহব্বত পোষণ করেন। এছাড়াও অমুসলিমদের মধ্য থেকে, বিশেষ করে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের কিছু পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষ আরবাইন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন।
হুজ্জাতুল ইসলাম আখতারি আরও বলেন, এ বছর আরবাইনের আবহ একেবারেই আলাদা, কারণ এটি যেমন নিরীহ ইরানিদের শাহাদাতের সুগন্ধ বহন করছে, তেমনি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিজয়ের সুবাস ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইরানি জিয়ারতকারীদের প্রতি ইরাকি জনগণের উষ্ণ অভ্যর্থনা ইসলামী ঐক্যের প্রতীক এবং আমেরিকা ও ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধের প্রতি বৈশ্বিক শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ।
বিশ্বের বৃহত্তম কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ১২৮ দেশ
ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা'র (আইআরআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবে মক্কা মুকাররমায় আজ (শনিবার) থেকে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কুরআন হিফজ, কিরাত ও তাফসির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
এই প্রতিযোগিতায় মাহদি বারান্দে সম্পূর্ণ কুরআন হিফজ বিভাগে এবং সাইয়্যেদ হোসেইন মোকাদ্দাম সাদাত ১৫ পারা হিফজ বিভাগে ইরানের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সৌদি আরবের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় ১২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন, যা এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক দেশের অংশগ্রহণ। #
পার্সটুডে