বার্তা সংস্থা ইকনা: কুর্দি বংশোদ্ভূত গাজার ১২ বছরের যুবক "ইমান ইসমাইল আল-উস্তাল" বলেন: "আমি তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছি। অবশ্যই এটা মহান আল্লাহ সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও আমার পরিবার এবং শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের সমর্থন থাকার ফলে আমি সফল হতে পেরেছি।
এই তিন মাসে নির্দিষ্ট রুটিনের মধ্যে এবং দিনের অধিকাংশ সময় কুরআন হেফজ জন্য ব্যয় করেছেন। এছাড়াও স্কুলে অতি মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে ইমানের বেশ খ্যাতি রয়েছে।
এ সম্পর্কে ইমান বলেন: এই তিন মাসে আমি দিনের অধিকাংশ সময় কুরআন মুখস্থ করার পিছনে ব্যয় করেছি। সকালে ফজরের নামাজের পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত এবং আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হেফজের পিছনে ব্যয় করতাম। কুরআন হেফজের পাশাপাশি আমি নিয়মিত আমার ক্লাসরে পড়া প্রস্তুত করতাম এবং সবসময় ক্লাসের প্রথম অথবা দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হয়েছি।
ইমানের পিতা একজন অধ্যাপক; তার প্রত্যাশা ছিল অল্প বয়সেই তার সন্তান কুরআন হেফজ করুক। আর তার ইচ্ছার কারণেই তার ৪ সন্তান হাফেজ হয়েছেন।
ইমানের পিতা ইসমাইল আল-উস্তাল"ইসমাইল আল-উস্তাল" বলেন: আমি ছোট বেলা থেকেই ঈমানদার ছিলাম। আমার পিতার নিকট হতে এই শিক্ষা অর্জন করেছি। সন্তানদের কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য ফজরের নামাজের পরে আমি তাদের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করতাম। কুরআন মুখস্থ করার জন্য আমি তাদেরকে মসজিদে পাঠাতাম। পবিত্র কুরআন হেফজ করতে ইমানের মাত্র তিন মাস সময় লেগেছে। আর এরফলে সে অনেক সাওয়াব অর্জন করেছে এবং তার সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
Iqna