হুজ্জাতুল ইসলাম জাফারি বলেন, মহানবীর ইন্তেকালের পর তার উত্তরাধিকারীর বিষয়ে মুসলমানদের মধ্যে দুইটি ধারণা ছিল ১ নির্বাচন যাকে অধিকাংশ সুন্নিরা দাবি করে থাকে। আরেকটি হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারণ যা ১২ ইমামী শিয়া মুসলমানরা বিশ্বাস করে।
তবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ করলে বোঝায় সঠিক পথটি হচ্ছে শিয়াদের পথ। কেননা মহান আল্লাহই তার বান্দাদের ভালমন্দকে সব থেকে বেশী জানেন। সুতরাং তিনি মানুষের হেদায়েতের জন্য যেমন ভাবে নবী প্রেরণ করেছেন ঠিক নবীর সেই পথকে অব্যাহত রাখার জন্যও নেতা বা ইমামকেও তিনিই মনোনীত করবেন। পবিত্র কোরআনে ইমাম তথা নেতা সম্পর্কে ৩০০টির বেশী আয়াত রয়েছে।
বিদায় হজ থেকে ফেরার পথে ‘গাদীরে খুম’ নামক স্থানে হাজিদের এক বিশাল সমাবেশে মহানবী (স.) আলী (আ.) কে মুসলমান ও মু’মিনদের নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
তিনি বলেন: আমি যার মাওলা (অভিভাবক) আলীও তার মাওলা।” এই বাক্যটি তিনি তিনবার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। এরপর বললেন:- "হে আল্লাহ! তাকে তুমি ভালবাসত যে আলীকে ভালবাসে ও তুমি তার প্রতি শত্রুতা পোষণ কর যে আলীর প্রতি শত্রুতা পোষণ করে; তুমি সহযোগিতা কর তাকে যে আলীকে সহযোগিতা করে, তুমি তাকে নিঃসঙ্গ কর যে আলীকে একা রাখে এবং সত্যকে আলীর সাথে রাখ তা যে দিকেই থাক না কেন”।
হে লোকসকল! আপনারা অবশ্যই যারা উপস্থিত আছেন তারা এই বাণীটি অনুপস্থিতদের নিকট পৌঁছিয়ে দিবেন। রাসূলের (সা.) বক্তব্য শেষ হলে জিবরাঈল (আ.) আবার দ্বিতীয়বারের মত অবতীর্ণ হয়ে তাঁকে এই বাণীটি পৌঁছে দেন:
আজ আমি তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম ও আমার নেয়ামত বা অবদানকে তোমাদের উপর সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্ম হিসেবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়িদা-৩)