আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির কর্মকর্তা রিমা কামাল জানিয়েছেন, হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষের ওপর জঙ্গি বিমান থেকে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়। তিনি বলেছেন, ৩০০ লাশ বহন করার মতো প্রস্তুতি তার সংস্থা নিয়ে রেখেছে।
ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ বিষয়ক সমন্বয়কারী জ্যামি ম্যাকগোল্ডরিক এ হামলাকে ‘অত্যন্ত পাশবিক’ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হামলার পরপর ত্রাণকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের মর্মান্তিক দৃশ্য থেকে ‘ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত’ হয়েছেন। তিনি এ হামলার তাৎক্ষণিক তদন্ত চেয়েছেন।
ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন বলেছে, রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে রক্তের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে এ হামলায় নিহতদের ছিন্নভিন্ন দেহাবশেষের চিত্র দেখা গেছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সৌদি বিমান হামলার পর সানার জানাযার নামাজে সত্যিকার অর্থেই ‘রক্তের গঙ্গা’ বয়ে গেছে।
ইয়েমেনের বেসামরিক অনুষ্ঠান টার্গেট করে সৌদি আরবের বর্বরোচিত হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ তায়ে’জের মোখা শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সৌদি বিমান হামলায় অন্তত ১৩০ জন নিরীহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছিল।
গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের ওপর বর্বরোচিত সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে সৌদি আরব। এতে এ পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।