IQNA

নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ২৬ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত

16:25 - October 14, 2016
সংবাদ: 2601760
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে প্রাণভয়ে পলাতক রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় অন্তত ২৬ ব্যক্তি মর্মান্তিক ভাবে নিহত হয়েছে। মুসলমান অধ্যুষিত উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছ।
নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ২৬ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত

বার্তা সংস্থা ইকনা: মিয়ানমারের পুলিশে ওপর অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের হামলাকে কেন্দ্র করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত হামলা শুরু করেছে। মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় নাটকীয় ভাবে মুসলমান বিরোধী সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আজ(শুক্রবার) বলেছেন, পলায়নপর নিরস্ত্র এবং নিরীহ মুসলমানদের অনেককে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমারের সেনারা।

রোববার থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ১৩ সদস্যসহ ৩৯ জন নিহত হয়েছে।

মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার খুব ভোরে তিন পুলিশ চৌকিতে সমন্বিত হামলা করেছে সশস্ত্র ব্যক্তিরা। এতে নয় পুলিশ নিহত হয়েছে এবং হামলাকারীরা অনেক অস্ত্র-শস্ত্রসহ ১০ হাজারের বেশি গুলি নিয়ে চম্পট দিয়েছে।

অবশ্য হামলাকারীদের পরিচয় উদ্ঘাটিত না হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমারের কোনো কোনো কর্মকর্তা এ ঘটনায় দ্রুত রোহিঙ্গা মুসলমানদের দায়ী করেন।

নতুন করে মুসলমান বিরোধী সহিংসতা শুরু হওয়ার মধ্য দিয়ে মিয়ানমারে ২০১২ সালের রক্তাক্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশংকা করা হচ্ছে। সে সময়ে উগ্রবাদী বৌদ্ধদের হামলায় শত শত রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছিল। হাজার হাজার মুসলমানের ঘরবাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল হাজার হাজার মুসলমান।

গোলযোগপূর্ণ প্রদেশটিতে মিয়ানমার সরকার সেনা পাঠিয়েছে এবং জাতিসংঘ মঙ্গলবার দেশটির সরকারের প্রতি ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষকে সহিংসতার পথে বেছে না নেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, এতে দেশটির নিরীহ মানুষের জীবন বিপন্ন হবে।

মানবাধিকার সংস্থা ফোরটি রাইটস বলেছে, রাখাইন প্রদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের খবর তাদের কাছে এসেছে। ধর্মীয় বা জাতিগত সংখ্যালঘু সংক্রান্ত পরিচয় উপেক্ষা করে সব নিরীহ মানুষকে রক্ষার ব্যবস্থা নিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফোরটি রাইটস।

এদিকে, মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচি দাবি করেছেন তার সরকার আইনের শাসন কায়েম করছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে ভূমিকার কারণে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সুচি এরই মধ্যে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

iqna


captcha