শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদীর (আ.) আবির্ভাবের সময় তার বাহ্যিক চেহারা ও গঠন প্রকৃতি সম্পর্কে রাসূল (সা.) থেকে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে; যথা:
«المهدى من ولدى وجهُهُ كالقمر الدُّرّى
অর্থাৎ মাহদী আমার সন্তান; তার চেহারা উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায়। (ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাহ, পৃ. ১৮৮)
«... على خَدِّه الأيمن خالٌ»
মাহদীর মুখের ডান পার্শ্বে একটি তিল থাকবে। (বিহারুল আনওয়ার, ৫১তম খণ্ড, পৃ. ৮০)
আরও একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
«المهدى طاووس اهل الجنّة عليه جلابيبُ النّور»
মাহদী জান্নাতে ময়ূর; বেহেশতের জ্যোতি তাকে পরিবৃত্ত করে রাখবে। (মুনতাখাবুল আসার; পৃ.১৮৬)
ইমাম মাহদীর কপাল হবে প্রশস্ত ও স্বচ্ছ; তার ভ্রু হবে চিকন ও মসৃণ। রাসূলের (সা.) হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী ইমাম মাহদীর (আ.) চোখদ্বয় আলোকিত ও তার চোখের মণিদ্বয়ও লোহিত বর্ণের।
ইমাম মাহদীর (আ.) শারীরিক গঠন ও আকৃতি সম্পর্কে আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে,
«يخرجُ رَجُلٌ مِن وُلدى فى آخِرِ الزّمان ابيضُ اللون مُشرَبٌ بالحُمرَة مُبدَحُ البَطنِ عَريضُ، عَظيمُ مُشاشِ المنكبين، بِظَهرِه شامَّتانِ : شامَّةٌ على لَونِ جِلده و شامَّةٌ على شبهِ شامّة النبى»
অর্থাৎ শেষ জামানায় আমার বংশধারায় একজন পুরুষের আবির্ভাব ঘটবে; তার চেহারা হবে আকর্ষণী ও দর্শনীয়। তার বুক ও পেট প্রসস্থ, পাদ্বয় লম্বা। তার পিঠে দু’টি বিশেষ চিহ্ন থাকবে একটি হচ্ছে চামড়ার বর্ণের এবং অপরটি রাসূলের (সা.) পিঠে রক্ষিত মোহরে নবুয়্যাতের সদৃশ। (দ্র: এলজাম আল নাসেব, পৃ.১৩৮)