শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) বলেছেন যে, অভাবের তাড়নায় অপমানিত হওয়া কতইনা নিকৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত এবং সম্পদের প্রাচুর্যের অন্যের প্রতি অবিচার করাও ধিক্কৃত বিষয়। তিনি স্বীয় সন্তান ইমাম হাসানাকে (আ.) উদ্দেশ্য করে বলেছেন:
«اِنَّ لَكَ مِنْ دُنْیاكَ، ما اَصْلَحْتَ بِهِ مَثْواكَ وَ اِنْ جَزِعْتَ عَلی ما تَفَلَّتَ مِنْ یَدَیْكَ فَاجْزَعْ عَلَی كُلِّ ما لَمْ یَصِِلْ اِلَیْكَ»؛
অর্থাৎ হে আমার সন্তান! এ পৃথিবীতে ততটুকুই তোমার অংশ যতটুকু তুমি কিয়ামতের সংগ্রহ করতে পারবে। যদি তোমার থেকে যা কিছু হাত ছাড়া হয়েছে, সেজন্য অনুতপ্ত হও; তবে যা কিছু তোমার আয়ত্তে নেই সেজন্য তুমি দুঃখিত হও।
ইমাম আলীর (আ.) এ উপদেশ থেকে এটাই বুঝা যায় যে, আমাদের পরকালের পাথেয়ের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই এ পৃথিবীতে আমাদের প্রাপ্ত। এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা মোটেও সমীচীন নয়। অন্যভাবে বলা যায় যে, এ পৃথিবীর ততটুকু সম্পদ মানুষের প্রাপ্ত; যা দিয়ে সে নিজের পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করতে পারে। এর থেকে অধিক কিছু মানুষের প্রাপ্ত নয়।
মহান আল্লাহর প্রত্যেকটি কাজেই হিকমত ও দর্শন রয়েছে। এটা কখনও হতে পারে না যে, তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করবেন; কিন্তু আমাদের প্রয়োজন মাফিক রিজিক দান করবেন না। তবে এ রিজিক অর্জনের জন্য প্রথমে নিজেদের মধ্যে যোগ্যতা তৈরি করা প্রয়োজন।