IQNA

ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পর পৃথিবী ও উম্মতের উন্নতি

0:52 - March 06, 2017
সংবাদ: 2602660
কায়েমে আলে মুহাম্মদ (আ.)-এর হুকুমতের আরও একটি সাফল্য হচ্ছে অধিক কল্যাণ ও বরকত৷তাঁর হুকুমতের বসন্তে সর্বত্র সবুজ-শ্যামল ও সাচ্ছন্দময় হয়ে উঠবে৷ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং মাটি থেকে ফসল উৎপন্ন হবে ও ঐশী বরকতে ভরপুর হয়ে যাবে৷
ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পর পৃথিবী ও উম্মতের উন্নতি
বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম জাফর সাদিক (আ.)বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা তাঁর কারণে আকাশে ও মাটিতে বরকতের বন্যা বইয়ে দিবেন৷ আকাশ থেকে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং মাটি থেকে ফসল উৎপন্ন হবে (গাইবাতে তুসী,হাঃ১৪৯, পৃ.-১৮৮)৷

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন: শেষ জামানায় মাহদীর আবির্ভাব হবে, আল্লাহ তার বরকতে অধিক বৃষ্টি দান করবেন, জমিনে নানা ধরনের ফলবান বৃক্ষ জন্ম নেবে, তিনি সবার মাঝে সমান ভাবে সম্পদ বণ্টন করে দিবেন। অধিক পরিমাণে গবাদি পশু ও গরু ছাগল হবে। আর মানুষ সম্মান ও মর্যাদার সাথে জীবন যাপন করবে।

পৃথিবীর সকল সম্পদ যখন ইমাম মাহদী (আ.)-এর কাছে প্রকাশ পাবে এবং তাঁর যামানার মানুষের উপর আকাশ ও মাটির সকল বরকত বর্ষিত হবে ও মুসলমানদের বাইতুল মাল সমভাবে বন্টিত হবে তখন দারিদ্র্যতার আর কোন স্থান থাকবে না৷ ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমতে সকলেই অভাব ও দারিদ্র্যতার কালো থাবা থেকে মুক্তি পাবে (মুনতাখাবুল আছার অধ্যায় ৭, বাব ৩ ও ৪, পৃ.-৫৮৯-৫৯৩)৷

তাঁর সময়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের সাথে গড়ে উঠবে৷ ব্যক্তিগত স্বার্থপরতা ও অর্থলিপ্সার স্থানে সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব স্থান নিবে৷ তখন সকলেই প্রত্যেককে একই পরিবারের সদস্যমনে করবে৷ সুতরাং প্রত্যেকেই অন্যকে নিজের মনে করবে এবং তখন সর্বত্র একতা ও অভিন্নতার সুবাস ছড়িয়ে পড়বে৷

ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদী (আ.) বছরে দুই বার জনগণকে দান করবেন এবং মাসে দুই বার তাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবেন৷ এ ক্ষেত্রেও তিনি সমানভাবে সবার মধ্যে বণ্টন করবেন৷ এভাবে মানুষ স্বনির্ভর হয়ে উঠবে এবং যাকাতের আর প্রয়োজন হবে না (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড-৫২, হাঃ ২১২, পৃ.-৩৯০)৷
শাবিস্তান

captcha