বার্তা সংস্থা ইকনা: "আবু ওয়ারদা" নামে পবিত্র কুরআনের এই পাণ্ডুলিপি বিভিন্ন রঙ্গের সমন্বয়ে প্রিন্ট করা হয়েছে এবং পাণ্ডুলিপির প্রচ্ছদে ও পৃষ্ঠায় বিভিন্ন রং-বেরংয়ের ফুলের ছবি পরিলক্ষিত হয়।
২০১৫ সালে থেকে আল-আজহারের ইসলামী রিসার্চ কাউন্সিলের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পবিত্র কুরআনের এধরণের পাণ্ডুলিপি এখনও মিশরের বাজারে অহরহ পাওয়া যাচ্ছে।
কায়রোর "আল হুসাইন" মসজিদের পিছনে "আবু ওয়ারদা" পাণ্ডুলিপি বিক্রয় করা হচ্ছে এবং ঐ দোকানের বেশ কয়েকটি বইয়ের তাকে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ছোট পাণ্ডুলিপির মূল্য ৪০ পাউন্ড (মিশরের মুদ্রা) এবং বড় পাণ্ডুলিপির মূল্য ৭০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বিক্রেতা আব্দুল ওয়াহাব বলেন: এই আকর্ষণীয় কুরআন জনগণের নিকট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে এই পাণ্ডুলিপি সকলে ক্রয় করছেন এবং তাদের নিকটাত্মীয়দের উপহার দিচ্ছেন।
আল ওয়াতান নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি পবিত্র কুরআনের শেষে আল-আজহারের ইসলামী রিসার্চ কাউন্সিলের অনুমোদনপত্র দেখিয়ে বলেন: আমরা বৈধ পন্থায় কুরআন শরিফের এই পাণ্ডুলিপি বিক্রয় করছি।
অথচ আল-আজহারের ইসলামী রিসার্চ কাউন্সিলের সদস্য মুহাম্মদ আল শাহাত আল জান্দী বলেন: এই লাইসেন্স জাল। আমরা মিশরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পবিত্র কুরআনের এসকল পাণ্ডুলিপি বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি বলেন: এছাড়াও এই পাণ্ডুলিপি অনেক মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের উচিত স্বল্প লাখে এসকল পাণ্ডুলিপি বিক্রয় করা। এমন মূল্যে বিক্রয় করা উচিত যাতে ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজান মাসকে অপব্যবহার না করে।